ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জন্য মার্কিন যুদ্ধজাহাজের আদলে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে চীন

চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলের মরুভূমিতে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমানবাহী রণতরি ও কয়েকটি যুদ্ধজাহাজের আদলে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে
ছবি: রয়টার্স

চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলের মরুভূমিতে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমানবাহী রণতরি ও কয়েকটি যুদ্ধজাহাজের আদলে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, চীনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার লক্ষ্যবস্তু হিসেবে ওই স্থাপনাগুলো ব্যবহার করা হবে। গতকাল রোববার স্যাটেলাইট থেকে ধারণ করা ছবিতে স্থাপনাগুলোর দেখা মেলে। খবর রয়টার্সের
তাইওয়ান ও দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যু নিয়ে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক এখন বেশ তিক্ত। এর মধ্যে এমন স্থাপনা নির্মাণ, যুদ্ধবিমানবাহী রণতরি ধ্বংসের সক্ষমতা অর্জনে চীনের প্রয়াসের দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। যদিও এ নিয়ে জানতে চাইলে রয়টার্সের কাছে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়

এমন স্থাপনা নির্মাণ, যুদ্ধবিমানবাহী রণতরি ধ্বংসের সক্ষমতা অর্জনে চীনের প্রয়াসের দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা
ছবি: রয়টার্স

স্যাটেলাইট থেকে ধারণ থেকে ছবিতে দেখা যায়, তাকলামাকান মরুভূমিতে একটি যুদ্ধবিমানবাহী রণতরি এবং দুটি যুদ্ধজাহাজের মডেল নির্মাণ করা হয়েছে। মার্কিন নেভাল ইনস্টিটিউট বলছে, মরুভূমির এ এলাকাটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করে চীন।

চীনের যুদ্ধবিমান ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্রসংশ্লিষ্ট বিষয় দেখভাল করে পিপলস লিবারেশন আর্মি রকেট ফোর্স (পিএলএআরএফ)। চীনা সেনাবাহিনী নিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন বলছে, ২০২০ সালের জুলাইয়ে প্রথম দক্ষিণ চীন সাগরে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় পিএলএআরএফ। সে সময় ছয়টি ডিএফ-২১ জাহাজ ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র স্প্রাটলি দ্বীপপুঞ্জের উত্তরের সাগরে ছোড়া হয়। এ অঞ্চল নিয়ে তাইওয়ানসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার চারটি দেশের সঙ্গে দ্বন্দ্ব রয়েছে চীনের।

দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের এমন আচরণকে ‘উসকানিমূলক’ বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। চলতি বছরের জুনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন এমন আচরণ থেকে বিরত থাকতে চীনকে হুঁশিয়ারি দেন। প্রতিপক্ষ দেশটিকে সতর্ক করে তিনি বলেন, দক্ষিণ চীন সাগরে হামলা হলে ফিলিপাইনকে রক্ষায় এগিয়ে আসবে যুক্তরাষ্ট্র।