হংকংয়ে গণতন্ত্রকামীদের সহায়তা করায় গ্রেপ্তার ৯

গ্রেপ্তার ১২ গণতন্ত্রকামীর মুক্তির দাবিতে হংকংয়ে বিক্ষোভ চেষ্টা চলে আসছে
ফাইল ছবি রয়টার্স


হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থীদের পালাতে সহায়তা দেওয়ার অভিযোগে সন্দেহভাজন ৯ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে হংকং পুলিশ।

গত আগস্টে ১২ গণতন্ত্রকামীকে পালিয়ে যেতে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে ওই ৯জনের বিরুদ্ধে। ১২ গণতন্ত্রকামী তাইওয়ানে পালিয়ে যাওয়ার সময় চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর সেনজেনের জলসীমায় চীনের পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।  

হংকং পুলিশের কর্মকর্তা হো চাং-টাংয়ের বরাত দিয়ে দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রেপ্তার ৯ জনের মধ্যে চার পুরুষ ও পাঁচ নারী। তারা ওই ১২ ব্যক্তিকে হংকং ছাড়ার জন্য গাড়ি জোগাড়, অর্থ সহায়তা, পালানোর আগে থাকার জায়গা ও তাইওয়ানে আবাসস্থলের ব্যবস্থা করেছিলেন। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নৌকার মালিকও আছেন।

চীনের নতুন নিরাপত্তা আইনের প্রতিবাদে হংকংয়ে গত বছর থেকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ করছেন গণতন্ত্রপন্থীরা। কর্তৃপক্ষ ওই বিক্ষোভকে দেখছে হংকং-বিরোধী অপরাধ হিসেবে।

চীনের পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার সেই ১২ জন আইনি সহায়তা পেতে নিরপেক্ষ কোনো আইনজীবী নিয়োগ দিতে পারছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের স্বজনদের বরাত দিয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ অভিযোগ তুলেছে। এ ছাড়া সেনজেনে তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি হংকং কর্তৃপক্ষের মদদেই হয়েছে বলে অভিযোগ স্বজনদের। পুলিশ কর্মকর্তা হো চাং-টাং অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, চীনের মূল ভূখণ্ডেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এতে হংকং পুলিশের কোনো ভূমিকা ছিল না।

এদিকে চলতি মাসের শুরু থেকে হংকংয়ে বিক্ষোভকারীদের অনেকে স্বশাসিত তাইওয়ানে চলে যাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে একটি পক্ষ যাচ্ছেন প্রয়োজনীয় নথিপত্র ঠিক করে আকাশ পথে, অন্য পক্ষ যাচ্ছে জেলেদের নৌকায় করে। আকাশ পথে স্বাধীনতাকামী ব্যক্তিদের তাইওয়ানে যেতে ভিসা সহায়তা দিচ্ছেন সেখানকার (তাইওয়ান) অধিকারকর্মীরা। গ্রেপ্তার

১২ ব্যক্তির মুক্তির দাবিতে হংকংয়ে প্রায়ই বিক্ষোভের চেষ্টা হচ্ছে। গত ১ অক্টোবর চীনের জাতীয় দিবসেও তাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভের চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। যদিও হংকং কর্তৃপক্ষ দাঙ্গা পুলিশ দিয়ে তা ঠেকিয়ে বেশ কয়েকজনকে আটক করে।