ঘুমানোর জন্য চলবে বাস

প্রতীকী
ছবি: এএফপি

কাজ করতে করতে ভীষণ ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন; কিংবা ইট–কাঠের শহুরে জীবনে অবসাদ ঘিরে ধরেছে। কয়েক ঘণ্টা সময় নিয়ে বাসে করে ছোট্ট একটা ভ্রমণ সেরে নিতে পারেন। এটা আপনাকে শুধু ভ্রমণের অভিজ্ঞতাই দেবে না, বরং কয়েক ঘণ্টা টানা ঘুমিয়ে নিতেও পারবেন অনায়াসে। ফিরতে পারবেন একদম চাঙা হয়ে।

কাজের ক্লান্তি–অবসাদ দূর করতে এমন বিচিত্র সেবা পেতে আপনাকে যেতে হবে হংকংয়ে। সেখানকার এই বাস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান উলু ট্রাভেল। গতকাল শনিবার চালু হওয়া এই বাস হংকংয়ের তুয়েন মুন মহাসড়ক ধরে নর্থ লানতাউ দ্বীপের আশপাশে যাত্রীদের নিয়ে টানা পাঁচ ঘণ্টায় ৪৭ কিলোমিটার এলাকায় ঘুরবে। এ সময় যাত্রীরা বাসটিতে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হতে পারবেন। এ জন্য প্রয়োজনীয় সব সুযোগ–সুবিধা রাখা হয়েছে এতে।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট গতকাল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যাত্রা শুরুর আগে সেখানকার একটি রেস্তোরাঁয় ভরপেট খেয়ে নিতে পারবেন যাত্রীরা। এরপর দ্বিতল বাসটিতে শুরু হবে পাঁচ ঘণ্টার নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের যাত্রা। এ সময় বাসজুড়ে থাকবে সুনসান নীরবতা। ঘুমের পরিবেশ তৈরিতে যাত্রীদের কানে ইয়ারপ্ল্যাগ ও চোখে আলো প্রতিরোধী স্লিপিং মাস্ক দেওয়া থাকবে।

বাসের ওপরের তলায় দুই ধরনের কেবিন রয়েছে—একটি শব্দপ্রতিরোধী ‘জিরো–ডেসিবেল স্লিপিং কেবিন’; অন্যটি ‘ভিআইপি প্যানারোমা কেবিন’। এসব কেবিনে কথা বলাও নিষিদ্ধ। তবে নিচের তলার ‘ফটো–টেকিং কেবিন’ হালকা স্বরে কথা বলার সুযোগ রাখা হয়েছে।

বাসে ঘুমিয়ে ক্লান্তি দূর করতে আপনার পকেট থেকে বেশ কিছু অর্থ খসবে। একেকটি আসনের জন্য যাত্রীদের ১৩ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ হাজার ১০০ টাকার কিছু বেশি) থেকে শুরু করে ৫১ ডলার (৪ হাজার ৩০০ টাকার কিছু বেশি) পর্যন্ত গুনতে হবে। হংকংবাসীর কাছে বিচিত্র এই বাসযাত্রা বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যাত্রা শুরুর দিনের সব টিকিট আগেই বিক্রি হয়ে গেছে।

এই বিষয়ে উলু ট্রাভেলের প্রতিষ্ঠাতা ফ্রাঙ্কি চউ কাম–কেই বলেন, তাঁদের এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য ছিল যাত্রীদের সৃজনশীল উপায়ে সেবা দেওয়া। হংকংয়ে আবাসনসংকট চরম আকার ধারণ করেছে। অনেকেই রাতে নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। তাঁরা এই সেবা নিতে পারেন।