চীনে রপ্তানি করা মাংসে করোনাভাইরাস মেলেনি: জেসিন্ডা আরডার্ন

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন
ছবি : রয়টার্স

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন বলেছেন, তাঁর দেশ থেকে রপ্তানি করা মাংসজাতীয় পণ্যে কোভিড-১৯ সমস্যা নেই বলে তিনি আত্মবিশ্বাসী। গতকাল সোমবার চীনের অভিযোগের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। চীনা কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, তারা হিমায়িত গরুর মাংসের পণ্যগুলোতে করোনভাইরাস শনাক্ত করেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের জিনান শহরের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা ব্রাজিল, বলিভিয়া ও নিউজিল্যান্ড থেকে আমদানি করা গরুর মাংস ও নাড়িভুঁড়ির প্যাকেটে করোনাভাইরাস শনাক্ত করেছে। দেশটির অন্য দুটি রাজ্যে আর্জেন্টিনা থেকে আমদানি করা শূকরের মাংসের প্যাকেটে করোনা শনাক্ত করার কথা বলেছে।

নিউজিল্যান্ডে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আর্জেন্টিনা থেকে আমদানি করা গরুর মাংসের প্যাকেটে তারা (চীন) করোনাভাইরাস খুঁজে পেয়েছে। একই হিমাগারে তারা নিউজিল্যান্ডের মাংসজাত পণ্য রেখেছিল। সেখানকার কিছু পণ্যে পজিটিভ ফল পেয়েছে।

আরডার্ন বলেছেন, ‘নিউজিল্যান্ডের কাছে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের পণ্যে করোনাভাইরাস নেই। এ ছাড়া এসব পণ্য যখন রপ্তানি করা হয়, তখন তাতে কোনো কোভিড সংক্রমণের চিহ্ন ছিল না।’

নিউজিল্যান্ড এখন পর্যন্ত দুবার কোভিড-১৯ সমস্যা সফলভাবে দূর করেছে। বর্তমানে দেশটিতে মাত্র ৫৮ জন সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন। তাঁদের সবাইকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত দেশটিতে স্থানীয় কোনো সংক্রমণের ঘটনা ঘটেনি।

আরডার্ন বলেছেন, নিউজিল্যান্ডের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চীনের কাছ থেকে আরও তথ্য খুঁজছে। চীন বিশ্বের বৃহত্তম গরুর মাংসের ক্রেতা। কিন্তু তাদের কাছ থেকে পরিষ্কার তথ্য পাওয়া যায়নি।

আমদানি করা পণ্যে করোনার উপস্থিতি টের পাওয়ার পর থেকে চীন হিমায়িত পণ্যে পরীক্ষা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অবশ্য বলছে, হিমায়িত খাবার থেকে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকি কম।