হংকংয়ের ১০ গণতন্ত্রপন্থীকে জেল দিল চীন

হংকংয়ের গ্রেপ্তারকৃত ১২ কর্মীকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন এক গণতন্ত্রকামীছবি: রয়টার্স

হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী ১০ জন কর্মীকে আজ বুধবার তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দিয়েছেন চীনের একটি আদালত। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

তাইওয়ানে আশ্রয় লাভের জন্য হংকং থেকে স্পিডবোটে করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার দায়ে এই ১০ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

তাইওয়ান যাওয়ার পথে গত ২৩ আগস্ট হংকংয়ের এই গণতন্ত্রপন্থী কর্মীদের গ্রেপ্তার করে চীনের কোস্টগার্ড। হংকংয়ে চীনবিরোধীদের ওপর দমন–পীড়ন বাড়তে থাকায় তাঁদের জন্য নিজেদের দুয়ার খুলে দিয়েছে তাইওয়ান।

মামলার শুনানি শুরুর মাত্র তিন দিন আগে ওই কর্মীদের পরিবারগুলোকে বিচারের তারিখ সম্পর্কে অবগত করা হয়। এমনকি গ্রেপ্তার এই কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের আইনজীবীদের সাক্ষাৎ করারও সুযোগ দেওয়া হয়নি।

শেনঝেন ইয়ানতিয়ান ডিস্ট্রিক্ট পিপলস কোর্ট ট্যাং কাই–ইন নামের একজনকে তিন বছর ও কুইন মুন নামের আরেকজনকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়িতে সহায়তার দায়ে তাঁদের এই দণ্ড দেওয়া হয়। অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ির দায়ে অপর আটজনকে ৭ মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এর আগে কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, তথাকথিত ‘হংকং–১২’ নামের এই গণতন্ত্রপন্থী কর্মী দলটির অপ্রাপ্ত বয়স্ক দুজন সদস্য দোষ স্বীকার করায় তাঁদের হংকংয়ে ফেরত পাঠানো হবে। সেই কথা অনুযায়ী, আজ দুপুরের দিকে ওই দুজন হংকংয়ে ফেরেন।

প্রাপ্তবয়স্ক ১০ কর্মীকে গত সোমবার প্রথম শেনঝেনের আদালতে হাজির করা হয়। তবে আদালতের বিচারকাজ প্রত্যক্ষ করার অনুমতি বিদেশি সাংবাদিক বা কূটনীতিকদের দেওয়া হয়নি।

কারাদণ্ডাদেশের পাশাপাশি এই ১০ জনকে ২০ হাজার ইউয়ান (প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা) করে জরিমানা করেছেন আদালত।

মামলার শুনানি শুরুর মাত্র তিন দিন আগে ওই কর্মীদের পরিবারগুলোকে বিচারের তারিখ সম্পর্কে অবগত করা হয়। এমনকি গ্রেপ্তার এই কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের আইনজীবীদের সাক্ষাৎ করারও সুযোগ দেওয়া হয়নি।

কারাদণ্ডাদেশের পাশাপাশি এই ১০ জনকে ২০ হাজার ইউয়ান (প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা) করে জরিমানা করেছেন আদালত।

বিবাদীপক্ষের আইনজীবীরা আজ বলেন, যে সাজা দেওয়া হয়েছে, তা বেশ কঠোর। তা ছাড়া অভিযোগও প্রমাণিত নয়।

যুক্তরাষ্ট্র গত সোমবার এই কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। মার্কিন দূতাবাসের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, জনগণকে স্বাধীনতার দাবি থেকে নিবৃত্ত করতে কোনো কিছু করাই বাদ রাখবে না চীন।

গণতন্ত্রকামী বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীরা হংকংয়েও বিচারের সম্মুখীন হচ্ছেন। হংকংয়ে বেইজিংয়ের শাসনের বিরুদ্ধে গত বছর শহরটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। তবে কঠোর জাতীয় নিরাপত্তা আইন কার্যকর করে চীন এই বিক্ষোভ দমিয়ে ফেলে।