চীনের নিষেধাজ্ঞার নিশানায় যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার তিনজন

উইঘুর ইস্যুতে পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞা চলছে
ছবি: রয়টার্স

উইঘুর ইস্যুতে বেইজিংয়ের সমালোচনার জেরে যুক্তরাষ্ট্রের দুই নাগরিক ও কানাডার একজন পার্লামেন্ট সদস্যের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চীন। এ ছাড়া মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা একটি কমিটির বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গত সপ্তাহে চীনের বেশ কিছু রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে গতকাল শনিবার চীন ওই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য, গুজব ও ভুয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে চীনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা।

গতকাল চীন যাঁদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তাঁরা হলেন যুক্তরাষ্ট্রের কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডমের দুই সদস্য গাইলে মঞ্চিন ও টনি পার্কিনস এবং কানাডার এমপি মাইকেল চং। এ ছাড়া মানবাধিকারবিষয়ক কানাডার একটি পার্লামেন্টারি কমিটির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। চীনের নাগরিক ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এসব ব্যক্তি ও সংস্থা বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালাতে পারবে না। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, তাঁদের চীনের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। তাঁদের চীন, হংকং ও ম্যাকাওতে প্রবেশের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন চীনের এই নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছেন। এই নিষেধাজ্ঞাকে ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করেছেন তিনি। একই সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা শিনজিয়াংয়ে গণহত্যার বিষয়টিকে আরও সামনে নিয়ে আসবে।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও চীনের নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপকে সমালোচনা করেছেন। তিনি বেইজিংয়ের পদক্ষেপকে স্বচ্ছতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর হামলা বলে অভিহিত করেছেন।

জিনজিয়াংয়ের বিভিন্ন শিবিরে কমপক্ষে ১০ লাখ উইঘুর মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সদস্য বন্দী আছেন বলে অভিযোগ মানবাধিকার সংস্থাগুলোর। এই বন্দিশিবিরে উইঘুরসহ অন্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে চীনা কর্তৃপক্ষ মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।