টিকা কার্যকরে চীনের নতুন কৌশল

করোনার টিকা
ফাইল ছবি: রয়টার্স

করোনার বিভিন্ন টিকার মিশ্রণ তৈরি করতে চায় চীন। নিজেদের তৈরি করোনার টিকার কার্যকারিতা কম হওয়ার কারণেই দেশটি এ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে বলে জানা গেছে। চীনের গবেষক দল মনে করছে, বিভিন্ন করোনার টিকার মিশ্রণ তৈরি করলে মানবদেহে সেটির কার্যকারিতা বেশি হতে পারে।

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, চীনের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের প্রধান গাও ফু করোনার বিভিন্ন টিকার মিশ্রণ তৈরির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। চীনের সংবাদমাধ্যম দ্য পেপার বিষয়টি জানিয়েছে।

গাও ফু বলেছেন, চীনের নিজেদের তৈরি করোনার টিকার কার্যকারিতা কিছুটা কম। তাই অন্যান্য টিকার একটি মিশ্রণ তৈরি করার চেষ্টা চলছে। এই প্রথমবারের মতো চীনের স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো শীর্ষ কর্মকর্তা এমন বক্তব্য দিলেন।

চীন এরই মধ্যে নিজেদের তৈরি করোনার টিকার ১৬ কোটি ১০ লাখ ডোজ দিয়েছে সাধারণকে। গত বছর থেকেই চীনে গণহারে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে দেশটির সরকার। আগামী জুনের মধ্যে মোট জনগণের ৪০ শতাংশকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে চীন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

গাও ফু এর আগে বলেছিলেন, চীন চাইছে দেশের মোট জনগণের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশকে টিকার আওতায় নিয়ে আসতে। এর জন্য এ বছরের শেষ বা ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়কে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। চেংদুতে গতকাল শনিবার গাও বলেছেন, টিকার কার্যকারিতা বাড়ানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হলো বিভিন্ন টিকার মিশ্রণ তৈরি করা।

অবশ্য বিষয়টি নিয়ে শুধু চীন নয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোও টিকার কার্যকারিতা বাড়াতে এমন পদক্ষেপ নিয়ে ভাবছে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন দেশে প্রয়োজনীয় গবেষণাও করা হচ্ছে।

চীনের তৈরি সিনোভ্যাক টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হয়েছিল ব্রাজিলে। সেখানে টিকাটির ৫০ শতাংশ কার্যকারিতা দেখা গিয়েছিল। অন্যদিকে রোগীদের গুরুতর পরিস্থিতি ঠেকাতে এই টিকা ৮০ শতাংশ কার্যকর বলে জানা গিয়েছিল। এ ছাড়া সিনোফার্মের তৈরি দুটি টিকার কার্যকারিতা পাওয়া গিয়েছিল যথাক্রমে ৭৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ ও ৭২ দশমিক ৫১ শতাংশ।