তিক্ততা উসকে দিচ্ছে ন্যাটো : চীন

ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ ।
ছবি : রয়টার্স

চীনের হুমকির বিষয়টি অতিরঞ্জিত করে ন্যাটোর বিরুদ্ধে তিক্ততা উসকে দেওয়ার অভিযোগ এনেছে বেইজিং। চীনা নীতির পদ্ধতিগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পশ্চিমারা একত্রে কাজ করার অঙ্গীকারের পর বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে আজ মঙ্গলবার ন্যাটোর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

এর আগে চীনের সামরিক হুমকির বিষয়ে সতর্ক করেন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর নেতারা। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত শীর্ষ সম্মেলনে ন্যাটো নেতারা বলেছেন, চীন তাদের পরমাণু শক্তি দ্রুত বৃদ্ধি করছে। রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে চীন তাদের সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন করছে।

ক্ষমতায় আসার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ন্যাটো সম্মেলনে প্রথমবারের মতো যোগ দিয়েছেন। ৭২ বছরের পুরোনো জোটে যুক্তরাষ্ট্র আর্থিক সহায়তা বজায় রাখবে বলে আশ্বাস দেন বাইডেন।

বিবিসি জানায়, এবারই প্রথম ন্যাটো তাদের এজেন্ডার কেন্দ্রে চীনকে রাখে।

এর প্রতিক্রিয়ায় চীন বলেছে, তাদের প্রতিরক্ষা নীতিমালার ধরন প্রতিরক্ষামূলক। তারা ন্যাটোকে তাদের শক্তি আলোচনার জন্য আরও বেশি খরচ করার আহ্বান জানায়।

ইউরোপীয় ইউনিয়নে চায়নিজ মিশন ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তাতে ন্যাটোকে যুক্তিযুক্তভাবে চীনের উন্নয়ন দেখতে বলা হয়েছে। চীনের হুমকি তত্ত্বকে নানাভাবে অতিরঞ্জিত করে প্রচার বন্ধের পাশাপাশি গোষ্ঠী রাজনীতিতে কারসাজির অজুহাত হিসেবে চীনের বৈধ স্বার্থ এবং আইনি অধিকারকে ব্যবহার না করার আহ্বান জানানো হয়।

চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আমাদের প্রতিরক্ষা এবং সামরিক আধুনিকায়ন ন্যায়সংগত, যুক্তিযুক্ত, উন্মুক্ত ও স্বচ্ছ।’

চীনের প্রতিক্রিয়ায় আরও বলা হয়, চীনের বিরুদ্ধে ন্যাটোর অভিযোগগুলো চীনের শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের ক্ষেত্রে অপবাদ, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির ক্ষেত্রে নিজেদের ভূমিকার ভুল বিচার, স্নায়ুযুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার মানসিকতা ও তাদের কাজের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক মানসিকতা।

এর আগে ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ সতর্কতা জারি করে বলেন, চীন সামরিক ও প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে ন্যাটোর নিকটবর্তী হতে চলেছে। তিনি বলেন, ন্যাটো জোট চীনের সঙ্গে নতুন কোনো স্নায়ুযুদ্ধ চায় না।

আরও পড়ুন