দুই সপ্তাহ পর খনি থেকে উদ্ধার হলো ১১ শ্রমিক

খনির ভেতর থেকে বের করে আনা হচ্ছে এক শ্রমিককে
ছবি: রয়টার্স

চীনের শ্যাংদং প্রদেশে সোনার খনিতে দুই সপ্তাহ আটকা থাকার পর উদ্ধার হলো ১১ শ্রমিক। নিহত হয়েছেন ৯ জন। এখনো হদিস মেলেনি একজন শ্রমিকের।

১০ জানুয়ারি  চীনের পূর্বাঞ্চলীয় শ্যানদং প্রদেশের ইয়ানতাই শহরের কাছে হুশান নামের সোনার খনিতে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে খনি থেকে বের হওয়ার পথটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমনকি খনির সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থাও ভেঙে পড়ে। ৬০০ মিটার গভীরে খনির ভেতরে আটকা পড়েন ২২ জন শ্রমিক।

গতকাল রোববার ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হন উদ্ধারকারীরা। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কারণ, তাঁর কাছে খাবার পাঠাতে পারেননি উদ্ধারকারীরা।

দেশটির জাতীয় খনি নিরাপত্তা প্রশাসনের হিসাবে ২০২০ সালে খনি দুর্ঘটনায় ৫৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম সিসিটিভির প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইয়ানতাইয়ের মেয়র চেন ফেই বলেন, উদ্ধারকারীরা আজ সোমবার বিকেল পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালান। সেখানে ৯ জনের লাশ পাওয়া গেছে। এর মধ্য দিয়ে ১০ জন নিহত হলেন।

খনির বাইরে উদ্ধারকারীদের তৎপরতা
ছবি: রয়টার্স

সিসিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, সেখানে উদ্ধারকাজ চালানোটা খুব কঠিন ছিল। সেখানে পানির উচ্চতা ছিল বেশি। যতক্ষণ না আরেক শ্রমিকের হদিস মিলছে, ততক্ষণ পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চলবে।

উদ্ধারকারী দলের প্রধান প্রকৌশলী সিয়াও ওয়েনরো বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে বলেন, ‘আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে সবচেয়ে ভালো উপায় ছিল ভেন্টিলেশন শাফট। খনি ধসে পড়ায় এটির পথও ধ্বংসস্তূপে বন্ধ হয়ে যায়। পরে এর ভেতর থেকে ৩৬৮ মিটার গভীর পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করা হয়। এরপর আমরা সেখানে দেখতে পাই কিছু স্টিলের পাইপ ধ্বংসস্তূপগুলোকে নিচের দিকে পড়া থেকে ঠেকা দিয়ে রেখেছে...ওই স্টিলের পাইপগুলোর নিচে কোনো প্রতিবন্ধকতা ছিল না।’ তিনি সিনহুয়াকে বলেন, ‘কিছু ধ্বংসস্তূপ সরানোর পর নিচে একটি গর্ত পাওয়া যায়, যা ছিল বিরাট সাফল্য।’

উদ্ধার হওয়া ১১ শ্রমিকের সবাই মোটামুটি ভালো আছেন। খনি থেকে বেরোনোর পথ ধ্বংসস্তূপে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কর্তৃপক্ষ আগে ধারণা করেছিল হয়তো উদ্ধার অভিযানে আরও ১৫ দিন লাগতে পারে।

দেশটির জাতীয় খনি নিরাপত্তা প্রশাসনের হিসাবে ২০২০ সালে খনি দুর্ঘটনায় ৫৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।