ব্রিটিশ ভিসা নিয়ে দেশ ছাড়ছেন হংকংয়ের বাসিন্দারা

যুক্তরাজ্যে বসবাসের জন্য হংকংয়ের বাসিন্দাদের ভিসা সুবিধা দিচ্ছে ব্রিটিশ সরকার
ফাইল ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাজ্যের নতুন ভিসা সুবিধায় দেশটিতে পাড়ি জমানোর অপেক্ষায় হংকংয়ের হাজার হাজার বাসিন্দা। আবাসন, স্কুল ও চাকরি সুবিধা দিয়ে তাঁদের সহায়তা করা হবে বলে ব্রিটিশ স্থানীয় সরকার ও আবাসনবিষয়ক মন্ত্রী রবার্ট জেনরিক জানিয়েছেন।      

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বেইজিংয়ের জাতীয় নিরাপত্তা আইন আরোপের পর হংকংয়ের বাসিন্দাদের নতুন ভিসার আওতায় যুক্তরাজ্যে বসবাসের সুযোগ দিচ্ছে ব্রিটিশ সরকার। এখন পর্যন্ত এ ভিসার জন্য ২৭ হাজার জন আবেদন করেছেন।

নতুন ভিসায় হংকংয়ের বাসিন্দাদের যুক্তরাজ্যে পাঁচ বছর থাকার অধিকার দেওয়া হচ্ছে। রবার্ট জেনরিক বলেছেন, ব্রিটিশ সরকারের মন্ত্রীরা তাঁদের ‘জরুরি’ সেবা সহায়তা দিতে চান। তিনি বলেন, ‘এখানে থাকার জন্য আমরা তাদের সহযোগিতা করব।’ ব্রিটিশ মন্ত্রী আরও বলেন, এখানে এসে কাউকে যেন কঠিন সময়ের মুখোমুখি হতে না হয়, তার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বসবাসের সুবিধাসহ যাবতীয় সহায়তা নিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়াবে।

গত ৩১ জানুয়ারি থেকে হংকংয়ের বাসিন্দারা পাঁচ বছরের জন্য যুক্তরাজ্যে আসার সুযোগ পাচ্ছেন এবং স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারছেন।

হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসন খর্ব করতে এবং গণতন্ত্রকামী বিক্ষোভকারীদের দমনে চীন নতুন নিরাপত্তা আইন পাস করে। যুক্তরাজ্য মনে করে, এ আইন স্বাধীনতা ও অধিকারের জন্য হুমকি। এরপর দেশটি হংকংয়ের বাসিন্দাদের জন্য ব্রিটিশ ন্যাশনাল (ওভারসিস) বা বিএনও ভিসা নিয়ে আসে।

ব্রিটিশ ভিসা পেতে আবেদনে সহায়তাদানকারী হাকনে চায়নিজ কমিউনিটি সার্ভিসের ম্যানেজার জাবেজ লাম বলেন, এখন পর্যন্ত সাত হাজারের মতো হংকংবাসী যুক্তরাজ্যে এসে পৌঁছেছেন। লকডাউন শিথিল হলে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে তাঁর ধারণা।

১৯৯৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে চীন শাসনে অন্তর্ভুক্ত হয় হংকং। তখন থেকে হংকং ‘এক দেশ, দুই নীতি’ পদ্ধতির আওতায় স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা ভোগ করে আসছিল। হংকংয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে গত বছর নিরাপত্তা আইন পাসের পর তা কার্যকর করে চীন। এ আইনের প্রতিবাদে হংকংয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভ দমনে কঠোর ব্যবস্থা নেয় চীন।