মাস্ক ছিল তিন হাজার বছর আগেও

চীনে পাওয়া সেই সোনার মাস্ক
টুইটার থেকে

চলমান করোনাভাইরাসের (কোভিড–১৯) মহামারি মাস্ককে আমাদের নিত্যসঙ্গী করেছে। বিশ্বজুড়ে কমবেশি সবাই মাস্ক পরছেন। অন্যকে মাস্ক পরতে উৎসাহিত করছেন। তবে শুধু করোনা মহামারিকালে নয়, তিন হাজার বছর আগেও ছিল মাস্ক। চীনের প্রত্নতত্ত্ববিদেরা সম্প্রতি একটি সোনার তৈরি মাস্ক খুঁজে পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন।

সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, চীনের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলীয় সিচুয়ান প্রদেশের একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান খনন করছিলেন গবেষকেরা। জায়গাটি প্রাদেশিক রাজধানী চেংদুর উপকণ্ঠে। সেখানে ৪ দশমিক ৬ বর্গমাইল জায়গাজুড়ে খননকাজ চালানো হয়। এ খননকাজের সময় সেখান থেকে প্রাচীন পাঁচ শর বেশি নিদর্শন খুঁজে পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সোনার তৈরি একটি মাস্কও রয়েছে। পরে পরীক্ষা করে দেখা যায়, সোনার এ মাস্ক তিন হাজার বছরের পুরোনো।

প্রত্নতত্ত্ববিদদের খুঁজে পাওয়া মাস্কটির ৮৪ শতাংশই সোনা দিয়ে বানানো। ওজন ২৮০ গ্রাম। চীনের ন্যাশনাল কালচারাল হেরিটেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এ তথ্য জানিয়েছে। প্রত্নতত্ত্ববিদেরা বলছেন, ওই সময় মানুষ বিভিন্ন আচার–অনুষ্ঠানে সোনা দিয়ে বানানো এমন মাস্ক পরতেন।

সিচুয়ান প্রদেশের যে জায়গায় খননকাজ চালানো হয়েছে, সেটি একসময় প্রাচীন শু রাজ্যের ­­অন্তর্গত ছিল। সময়টা ৩১৬ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। পশ্চিম সিচুয়ান উপত্যকায় হান নদীর অববাহিকাজুড়ে বিস্তৃত ছিল এ রাজ্য। শিল্পকর্মের জন্য খ্যাতি ছিল রাজ্যটির।

সাম্প্রতিক খননে প্রত্নতত্ত্ববিদেরা সোনার তৈরি মাস্ক ছাড়াও শু শাসনামলের আরও নানা প্রত্ন নিদর্শন খুঁজে পেয়েছেন। এর মধ্যে সোনার পাত, ব্রোঞ্জ, হাতির দাঁত, হাড়ের তৈরি নিদর্শন, কাঠের তৈরি বাক্স, ব্রোঞ্জের পাত্রসহ নানা উপকরণ রয়েছে। প্রত্নতত্ত্ববিদদের মতে, এসবই ব্রোঞ্জ যুগের অনন্য নিদর্শন।

সিচুয়ান প্রদেশের শাংসিংদু প্রত্নস্থানটি আগামী দিনে ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। গত শতকের বিশের দশকের পর থেকে এখন পর্যন্ত এ অঞ্চল থেকে ৫০ হাজারের বেশি প্রত্ননিদর্শন খুঁজে পাওয়া গেছে। এর আগে ১৯৮৬ সালে এখানে খননকাজ চালিয়ে ব্রোঞ্জের তৈরি মাস্ক খুঁজে পেয়েছিলেন প্রত্নতত্ববিদেরা।