যুক্তরাষ্ট্রকে একসঙ্গে পথচলার আহ্বান চীনের

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে
ছবি : রয়টার্স

সমুদ্র ও আকাশসীমায় উসকানির পরিবর্তে একসঙ্গে, এক লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে পথচলার আহ্বান জানিয়েছে চীন।

চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি এ আহ্বান জানায়। বার্তা সংস্থা পিটিআই এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জ্যেষ্ঠ কর্নেল উ কিয়ান এক অনলাইন মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সামরিক বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা সম্প্রতি টেলিফোন আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। আলোচনায় তাঁরা যোগাযোগ জোরদার করতে সম্মত হয়েছেন। পার্থক্য ও মতবিরোধ সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি সাধারণ আগ্রহের ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে রাজি হয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, চীন নিজের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্রের উচিত সমুদ্র ও আকাশসীমায় উসকানি বন্ধ করা। একই লক্ষ্য অর্জনে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত চীনের সঙ্গে চলা।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মতবিরোধ লক্ষণীয়। দেশ দুটির মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ চলমান। এই পরিস্থিতিতে দুই দেশের সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা স্বাভাবিক হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নে উ কিয়ান বলেন, সংকট সমাধানে আলোচনার জন্য দুই দেশের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে ভিডিও সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। দুই পক্ষ সামরিক মানবিক সহায়তা ও দুর্যোগে ত্রাণ কার্যক্রম বিষয়ে একটি সেমিনার আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে। এ ছাড়া সমুদ্র নিরাপত্তা ইস্যুতে পরামর্শের বিষয়ও ঠিক করা হয়েছে।

কয়েকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরের কিছু দ্বীপে এমকিউ-৯ ড্রোন দিয়ে হামলা চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।

চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার সামরিক ও কূটনৈতিক চ্যানেলে বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন। তিনি বলেছে, এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো বস্তুনিষ্ঠ নয়। চীনের বিরুদ্ধে সামরিক সংকট তৈরির কোনো অভিপ্রায় নেই মার্কিন সেনাবাহিনীর।

কর্নেল উ কিয়ান আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তারা যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের প্রতিশ্রুতি রাখার আহ্বান জানায়। আর সামরিক উসকানি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলছে।

চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, কেউ যদি সমুদ্রে চীনের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টির সাহস দেখায়, তাহলে বেইজিং তার জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার স্বার্থ রক্ষায় দৃঢ়তার সঙ্গে জবাব দেবে।