যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের আশা করছে চীন

চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা
ছবি : রয়টার্স

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেন জেতার খবরে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর সম্পাদকীয়তে আজ সোমবার আশাবাদী সুর লক্ষ করা গেছে। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমগুলো পূর্বাভাস দিচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার হতে পারে এবং বাণিজ্য দিয়েই তা শুরু হতে পারে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জিনজিয়াং এবং হংকংয়ের মতো ইস্যুতে চীনের ওপর থেকে চাপ কমাবে বলে মনে করছে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। গ্লোবাল টাইমস বলছে, বেইজিংয়ের উচিত বাইডেন টিমের সঙ্গে যতটা সম্ভব যোগাযোগ করা।

ট্রাম্প প্রশাসন ইচ্ছাকৃতভাবে চীন-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উত্তেজনা তৈরি করেছিল। বিশেষত চীনকে চাপ দেওয়ার একটি কৌশল গ্রহণ করার পরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বাজে অবস্থায় পৌঁছায়। যার ফলে মার্কিন-চীন নীতিতে ‘বুদ্‌বুদ’ দেখা দেয়। গ্লোবাল টাইমসের সম্পাদকেরা লিখেছেন, ‘আমরা মনে করি, এই বুদ্‌বুদ ফাটিয়ে দেওয়া সম্ভব। এটি উভয় দেশ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মানুষের অভিন্ন স্বার্থে চীন-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক সহজ ও নিয়ন্ত্রণযোগ্য করে তোলা যায়।’

গ্লোবাল টাইমস হলো পিপলস ডেইলির একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকা। পিপলস ডেইলি মূলত চীনের কমিউনিস্ট পার্টির অফিশিয়াল সংবাদপত্র। গ্লোবাল টাইমস কমিউনিস্ট পার্টি বা সরকারের সরাসরি মুখপত্র নয়।

চায়না ডেইলি এক পৃথক সম্পাদকীয়তে লিখেছে, চীনের সম্পর্কের উন্নতি বাণিজ্য থেকেই শুরু হতে পারে এবং চীন-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য বাণিজ্য আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ।

চীনের ইংরেজি দৈনিক চায়না ডেইলি লিখেছে, ‘উভয় পক্ষকে সংযুক্ত করার শেষ সুতাগুলোর মধ্যে এটি একটি। এটি উল্লেখযোগ্য, বেইজিং বা ওয়াশিংটন উভয়ই কঠোর উপায়ে অর্জিত প্রথম পর্যায়ে যে চুক্তি করেছে, তা বাতিল করার উদ্যোগ নিচ্ছে না।’

গত এক বছরে বিশ্বের দুটি বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে উত্তেজনা তীব্র হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক ও প্রযুক্তিগত সাপ্লাই চেইন বড় ধাক্কা খেয়েছে। দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছিল।

বৈশ্বিক মহামারির পাশাপাশি মার্কিন চাপের কারণে চীন নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এই নীতিতে বিদেশি বাজার ও প্রযুক্তির ওপর নির্ভরতা কমাবে দেশটি এবং নিজস্ব অর্থনৈতিক উন্নয়নে আরও গুরুত্ব দেবে। চীনের অর্থনীতি উন্নয়নে এ নীতিকে ডুয়েল সার্কুলেশন নীতি বলা হচ্ছে।

গ্লোবাল টাইমস লিখেছে, ‘চীনকে এমন দেশ হতে হবে, যাকে যুক্তরাষ্ট্র দমন বা অস্থিতিশীল করতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থেই চীনের সঙ্গে সহযোগিতা করার সবচেয়ে ভালো সুযোগ বলে মনে করবে।’