হংকং নিয়ে জি-৭ জোটের উদ্বেগ

জাতীয় নিরাপত্তা আইন বাস্তবায়নের পর হংকংয়ে বিদ্রোহ শুরু হলে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নেয়
রয়টার্স ফাইল ছবি

হংকংয়ের নির্বাচনব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে চীনা পার্লামেন্টে নেওয়া সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-৭–এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। তাঁরা বলেছেন, চীনের সিদ্ধান্ত মৌলিকভাবে হংকংয়ের নির্বাচনব্যবস্থার গণতান্ত্রিক উপাদানগুলোর ক্ষতি করবে। এ নিয়ে জি–৭ গ্রুপ থেকে একটি বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ওই বিবৃতিতে টুইট করেছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব। এতে বলা হয়েছে, হংকংয়ের নির্বাচনব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত ইঙ্গিত দেয়, চীনা কর্তৃপক্ষ হংকংয়ের ভিন্নমত দমন করতে এবং তাদের মতামত মুছে দিতে চেষ্টা চালাচ্ছে। হংকং ও চীনা কর্তৃপক্ষকে তাই হংকংয়ের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি গণতন্ত্র প্রচারকারীদের ওপর অযৌক্তিক অত্যাচার বন্ধ এবং তাদের অধিকার ও স্বাধীনতা সুরক্ষার আহ্বান জানানো হয়েছে।

চীনের পার্লামেন্টে গত বৃহস্পতিবার হংকংয়ের নির্বাচনপদ্ধতি পরিবর্তনের খসড়া আইনটি পাস হয়। ব্যাপক করতালির মাধ্যমে এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান চীনা আইনপ্রণেতারা। নতুন পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে হংকংয়ের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিরোধিতার পথ প্রায় বন্ধ হবে। কেননা এতে হংকংয়ের আইনসভার আকার ও গঠন বদলে যাবে।

এর আগে হংকং নিয়ে চীনের নতুন সিদ্ধান্তে ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকি দেয় ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। এ ছাড়া চীনের সিদ্ধান্তের নিন্দাও জানানো হয়।

২৭টি দেশের জোট ইইউর তরফে সংস্থাটির পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল এক বিবৃতিতে বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা হংকংয়ের গণতান্ত্রিক জবাবদিহি ও বহুত্ববাদী রাজনৈতিক ব্যবস্থার ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।

ইইউর বিবৃতিতে বলা হয়, হংকংয়ের পরিচিতি ও সমৃদ্ধির কেন্দ্রে থাকা মৌলিক স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক নীতি ও রাজনৈতিক বহুত্ববাদকে চীন এবং বেইজিং–সমর্থিত হংকংয়ের কর্তৃপক্ষ ক্রমেই বেশি করে চাপের মুখে ফেলছে। হংকংয়ের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ত্বরান্বিত করতে কাজ করে যাওয়া ব্যক্তিদের ওপর নিপীড়ন বন্ধে চীন ও হংকংয়ের কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

এদিকে হংকংয়ের সরকার গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে ইইউর মন্তব্যের বিরোধিতা করেছে। হংকংয়ের সরকার বলেছে, জাতীয় নিরাপত্তা আইন বাস্তবায়নের পর থেকে সমাজে স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে।