সাত কোটি বছর আগের ডাইনোসরের জীবাশ্ম

শিল্পীর চোখে গোনকোকেন ন্যানোই প্রজাতির ডাইনোসর
ছবি: দ্য স্কাই নিউজের সৌজন্যে

যত বেশি অত্যাধুনিক গবেষণা হয়, তত বেশি প্রাণীর অস্তিত্ব সম্পর্কে জানা যায়। এর মধ্যে কিছু প্রাণী বহু আগে পৃথিবী দাপিয়ে বেড়াত। একসময় এই গ্রহে নানা প্রজাতির ডাইনোসরের অস্তিত্বের আবিষ্কার কার্যত বিজ্ঞানকেই এগিয়ে নিচ্ছে।

এবার ৭ কোটি ২০ লাখ বছর আগের তৃণভোজী ডাইনোসরের জীবাশ্মের সন্ধান পাওয়ার দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি সন্ধান পাওয়া হাঁসের মুখের মতো চ্যাপ্টা মসৃণ চোয়ালের এই ডাইনোসরের বসবাস ছিল চিলিতে।

সায়েন্স অ্যাডভান্সেস জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী সম্প্রতি আবিষ্কৃত তৃণভোজী এই ডাইনোসর গোনকোকেন ন্যানোই হিসেবে পরিচিত। এগুলো লম্বায় চার মিটার আর ওজনে এক টন পর্যন্ত হতো।

প্রায় ১০ বছর ধরে চলা গবেষণার পর এই আবিষ্কারের কথা জানালেন বিজ্ঞানীরা। চিলির অ্যান্টার্কটিক ইনস্টিটিউট (আইএনএসিএইচ) পরিচালিত গবেষণা কার্যক্রমের সময় ২০১৩ সালে পাতাগোনিয়ায় তোরেস দেল পাইন ন্যাশনাল পার্কের কাছে হলুদাভ কিছু হাড়ের ভগ্নাংশ পাওয়া যায়।

এ গবেষণাপত্রের মূল লেখক জনাথন আলার্কন বলেন, ‘প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম, দক্ষিণ আমেরিকায় পাওয়া যেত এমন একই প্রজাতিরই তৃণভোজী ডাইনোসর হবে হয়তো। কিন্তু যতই গবেষণা এগোতে থাকল, আমরা বুঝতে পারলাম, এটা একেবারেই নতুন কিছু।’

জনাথন দাবি করেন, শতাধিক হাড় অত্যন্ত যত্নসহকারে উদ্ধার করেন গবেষকেরা। কোনো হাড় যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়ে তাঁরা খুবই সতর্ক ছিলেন।

পরের কাজটি ছিল জীবাশ্মবিদদের। উদ্ধার হওয়ার হাড়গুলো নতুন প্রজাতির, নাকি আগে সন্ধান পাওয়া একই প্রজাতির ডাইনোসরের, তা নিশ্চিত করা। আগের গবেষণাগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে দেখা।

গবেষণাপত্রের আরেক লেখক আলেক্সান্ডার ভারগাস বলেন, ‘গোনকোকেন ন্যানোই হাঁসের মুখের মতো চ্যাপ্টা মসৃণ চোয়ালের অগ্রসর প্রজাতির ডাইনোসর নয়। বরং পুরোনো প্রজাতির যা বংশপরম্পরায় বিবর্তনের মাধ্যমে অগ্রসর প্রজাতিতে পরিণত হয়।’