সোয়া লাখ টাকার আনারস

হেলিগান বাগানে চাষ হওয়া সেই আনারস
ছবি: ওয়েবসাইট থেকে

পুষ্টিসমৃদ্ধ ফল হিসেবে আনারসের চাহিদা বেশ, বিশেষত শীতের মৌসুমে। ভিটামিন সিতে ভরা এ ফলে আছে ম্যাঙ্গানিজ ও পটাশিয়ামের মতো খনিজ উপাদান। যতই স্বাস্থ্যকর ফল হোক না কেন, দেশের বাজারে একটি আনারসের দাম কত হতে পারে, সর্বোচ্চ ১০০ টাকা? কিন্তু শুনলে চোখ কপালে উঠবে, ইংল্যান্ডের কর্নওয়ালের বিশেষ একটি আনারস চাষেই খরচ হয় সোয়া লাখ টাকা।

কর্নওয়ালে হেলিগান নামে একটি বাগান আছে। সেখানেই বিশেষ পদ্ধতিতে এ আনারস চাষ করা হয়। তাই বাগানের নামেই আনারসটির নামকরণ করা হয়েছে হেলিগান। সেই বাগানে চাষ হওয়া আনারস কিনতে প্রতিটির জন্য গুনতে হবে অন্তত ১ হাজার পাউন্ড, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার টাকার বেশি।

উচ্চ মূল্যের এ ফলের জন্য একটি ওয়েবসাইট আছে। তাতে বলা হয়েছে, ১৮১৯ সালে এ আনারস ব্রিটেনে আনা হয়। কিছুদিন পর উদ্যানতত্ত্ববিদেরা বুঝতে পারেন, দেশটির শীতপ্রধান আবহাওয়া এই আনারস চাষের উপযোগী নয়। এ জন্য তাঁরা একটা বুদ্ধি খাটান। আনারস চাষের জন্য কাঠের তৈরি বিশেষ পাত্রের নকশা করেন তাঁরা।

আনারস বড় করার জন্য পাত্রের ভেতর দেওয়া হয় পচনশীল সার। এ ছাড়া পাত্রের ভেতরের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে দেওয়া হয় হিটার।

হেলিগান নামে ওই বাগানের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে আনারষ চাষ খুব শ্রমসাধ্য বিষয়। এর জন্য নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া আনারস চাষের খরচ, সারের মূল্য, পরিবহন-স্থানান্তর খরচসহ অন্যান্য ব্যয় মিলিয়ে একটি আনারস চাষ করতে আমাদের এক হাজার পাউন্ডের বেশি ব্যয় হয়।’

ওই বাগানের দায়িত্বে আছেন এমন ব্যক্তিরা বলেছেন, প্রায় ২০০ বছর আগের পদ্ধতিতে সেখানে আনারস চাষ করেন তাঁরা। তবে চাষ হওয়া এ আনারস প্রচলিত উপায়ে বিক্রি করা হয় না। আনারস তোলার পর সেগুলো নিলামে তোলা হয়। আর নিলামে একেকটি আনারস প্রায় ১২ লাখ টাকায়ও বিক্রি হয়।

বাগানটিতে উৎপাদিত দ্বিতীয় আনারসটি ব্রিটেনের প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন বাগানের কর্মকর্তারা।