আজভ বাহিনীর ঘাঁটিতে মার্কিন অস্ত্রের গোপন ম্যানুয়াল পাওয়ার দাবি রাশিয়ার
মারিউপোল শহরের কাছে ইউক্রেনীয় আজভ বাহিনীর একটি ঘাঁটি দখল করার দাবি করেছেন রুশ সেনারা। সেখান থেকে ইউক্রেনে পাঠানো মার্কিন যুদ্ধাস্ত্রের গোপন ম্যানুয়াল (ক্লাসিফায়েড ম্যানুয়াল) পাওয়ার দাবি করেছে ক্রেমলিন। শুক্রবার রুশ সংবাদমাধ্যম স্পুতনিক নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্পুতনিক জানায়, আজভ বাহিনীর ঘাঁটি থেকে উদ্ধার হওয়া উপাদানকে ইউক্রেন যুদ্ধে অর্জিত সামরিক সরঞ্জামের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ, মস্কোর আপত্তি সত্ত্বেও পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনে দীর্ঘদিন ধরে যেসব অস্ত্র ও যুদ্ধ সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে, এতে তার তথ্য রয়েছে। নথিতে রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে অভিযান ও পুনরুদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশাবলি রয়েছে। এ নথি রুশ বাহিনীর হাতে পড়ার আগেই ধ্বংস করার কথা ছিল। কিন্তু আজভ যোদ্ধারা তা করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন।
ইউক্রেনে হামলা শুরুর আগে দনবাসের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ এলাকা রুশপন্থীদের দখলে ছিল। বাকি অংশের মধ্যে ছিল অবরুদ্ধ বন্দরনগরী মারিউপোল। এ মারিউপোল এলাকায় ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর আধা সামরিক দল আজভ ব্যাটালিয়নের যোদ্ধারা অবস্থান করছিলেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, এর মধ্যেই ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী বন্দরনগরী মারিউপোল দখলের দাবি করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে কিয়েভ বলছে, সেখানে নিজেদের শেষ ঘাঁটি রক্ষায় মরিয়া হয়ে লড়ছেন ইউক্রেনের সেনারা।
রুশ সরকারের ভাষ্যমতে, এ এলাকা জয় করার মানে হলো ইউক্রেনকে নাৎসিমুক্ত করতে রাশিয়া যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, তার বাস্তবায়ন হওয়া। মারিউপোল হয়ে দনবাস থেকে পশ্চিম দিক পর্যন্ত স্থলসংযোগ প্রতিষ্ঠা করতে চায় মস্কো।
স্পুতনিক জানায়, যে ম্যানুয়াল উদ্ধার করা হয়েছে, তা ইউক্রেনীয়, রুশ ও ইংরেজি ভাষায় লেখা। ওই ম্যানুয়ালের ভিডিও চিত্র ধারণ করেছেন এক সাংবাদিক। নথিটি যে ঘাঁটিতে পাওয়া গেছে, সেখানে এসএস মেদভেদি নামে একটি নাশকতাকারী দল অবস্থান করেছিল। ম্যানুয়ালগুলোর একটিতে ফোর্ট হুয়াচুকার মার্কিন সেনা গোয়েন্দা কেন্দ্রের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আরেকটি মার্কিন সেনাবাহিনী বিভাগের প্রকাশিত।
আজভস্টাল ইস্পাত কারখানা বাদে মারিউপোলের অধিকাংশ অঞ্চল সম্প্রতি দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক (ডিপিআর) ও রুশ সামরিক বাহিনীর যৌথ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ক্রেমলিনের ভাষ্য, ইউক্রেনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া বিশেষ সামরিক অভিযানের সফলতার অংশ হিসেবে একে দেখা হচ্ছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলে আসছেন, দনবাসে নিপীড়ন, গণহত্যা ঠেকাতে রাশিয়া এ অভিযান চালাতে বাধ্য হয়েছে।