ইংল্যান্ড–স্কটল্যান্ড লকডাউনে, স্কুল বন্ধ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়িয়েছে ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডে
ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের একটি ধরন ছড়িয়ে পড়ার পর আক্রান্ত মানুষ ও রোগী উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে শুরু করেছে ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডে। তাই দেশ দুটিতে নতুন করে লকডাউন জারি করা হয়েছে। ইংল্যান্ডে ছয় সপ্তাহের লকডাউন জারি করা হয়েছে। স্কটল্যান্ড ‘স্টে-অ্যাট-হোম’ নির্দেশ জারি করে।

এর আগে ইংল্যান্ডে লকডাউন জারি করা হয়েছিল।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন লকডাউনের কথা ঘোষণা করেন। লকডাউনে স্কুলগুলোও বন্ধ থাকবে। আগামীকাল বুধবার থেকে কার্যকর হওয়া লকডাউন আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এ সময় ইংল্যান্ডের প্রত্যেক বাসিন্দাকে বাধ্যতামূলকভাবে বাসায় অবস্থান করতে হবে। শুধু জরুরি প্রয়োজনে অনুমোদিত কারণে বাইরে বের হতে পারবে মানুষ। আক্রান্ত ও রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় সামনের সপ্তাহগুলো ‘সবচেয়ে কঠিন’ হতে পারে বলে লোকজনকে সতর্ক করেছেন বরিস জনসন।

ইংল্যান্ডে ৪ জানুয়ারি ২৬৬২৬ জন করোনা রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন, যা এক সপ্তাহ আগের একই দিনের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি
ছবি: বিবিসির সৌজন্য

ইংল্যান্ডে গত ৪ জানুয়ারি ২৬ হাজার ৬২৬ জন করোনা রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন, যা এক সপ্তাহ আগের একই দিনের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি ছিল। গতকাল সোমবার টানা সপ্তম দিনের মতো যুক্তরাজ্যে ৫০ হাজারেরও বেশি নতুন করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এদিন ২৮ দিনের মধ্যে কোভিড শনাক্ত হওয়া ৪০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৫৮ হাজার ৭৮৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। ব্রিটেনে বর্তমানে দুটি টিকার প্রয়োগ চলছে। একটি ফাইজার বায়োএনটেকের এবং অপরটি অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকা।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ইংল্যান্ডে মৃত্যু হয়েছে ৭৫ হাজার ৫৪৭ জনের
ছবি: বিবিসির সৌজন্য

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে শনাক্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মোট সংখ্যা ২৭ লাখ ২১ হাজার ৬২২ জন এবং এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭৫ হাজার ৫৪৭ জনের।
জানুয়ারির শেষে পর্যালোচনার পর লকডাউন থাকবে কি না, সে সিদ্ধান্তের কথা জানাবে স্কটল্যান্ড। এদিকে ওয়েলস জানিয়েছে, অধিকাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে। ওয়েলসে গত ২০ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় পর্যায়ে লকডাউন চলছে। নর্দান আয়ারল্যান্ডেও স্কুলগুলোতে ‘দূরশিক্ষণ’ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।