ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সর্বাত্মক হামলা শুরু রাশিয়ার

পূর্ব ইউক্রেনে সর্বাত্মক হামলা শুরু করেছেন রুশ সেনারা।
ফাইল ছবি

ইউক্রেনীয় সেনাদের ঘেরাও করতে আজ মঙ্গলবার ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সর্বাত্মক হামলা শুরু করেছেন রুশ সেনারা। এই হামলার ফলাফল ওই অঞ্চলে রুশবাহিনীর সফলতা বা ব্যর্থতা নির্ধারণ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইউক্রেন যুদ্ধের ঠিক তিন মাস পর ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে ভূগর্ভস্থ মেট্রো চালু করার পরিকল্পনা করছে কর্তৃপক্ষ। যেখানে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ কয়েক মাস ধরে টানা বোমা হামলা থেকে বাঁচতে আশ্রয় নিয়ে রয়েছে।

মেট্রো পুনরায় চালু করা গত কয়েক সপ্তাহে ইউক্রেনের বৃহত্তম সামরিক সাফল্যের প্রতীক। ইউক্রেন চাইছে রুশ বাহিনীকে মূলত খারকিভের আর্টিলারি রেঞ্জের বাইরে ঠেলে দেওয়া, যেমনটি তারা গত মার্চে রাজধানী কিয়েভে করেছিল।

যুদ্ধের সর্বশেষ পর্বের নির্ণায়ক লড়াইগুলো এখনো ইউক্রেনের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলেই চলছে। যেখানে মস্কো পূর্বাঞ্চলীয় দুটি প্রদেশ দোনেস্ক এবং লুহানস্কের দনবাস অঞ্চল দখলের চেষ্টা করছে এবং মূল পূর্বাঞ্চলে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে একটি এলাকায় আটকে রাখার চেষ্টা করছে।

লুহানস্কের গভর্নর সেরহি গাইদাই বলেন, লিসিচানস্ক এবং সিভিয়েরোডোনেৎস্ককে ঘিরে ফেলতে শত্রুরা আক্রমণ চালাচ্ছে। যেখানে দুটি শহর এখনো ইউক্রেনের দখলে থাকা শেষ অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে। তিনি বলেন, সিভিয়ারোডোনেৎস্কে আগুনের তীব্রতা কয়েক গুণ বেড়েছে। তারা শহরটিকে স্রেফ ধ্বংস করছে। এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, শহরটিতে ১৫ হাজার মানুষের বাস, যেটি এখনো ইউক্রেনীয় সেনাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

দনবাসে রয়টার্সের সাংবাদিকেরা আরও পশ্চিমে বাখমুতে পৌঁছেছেন। তাঁরা গতকাল সোমবার লাইসিচানস্কের দিকে মহাসড়কে তীব্র গোলাগুলি শুনেছেন। তাঁরা দেখেছেন, ইউক্রেনীয় সাঁজোয়া যান, ট্যাঙ্ক এবং রকেট লঞ্চার সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। একই সঙ্গে সেনাদের বহনকারী বাসগুলোও সামনে এগিয়ে যাচ্ছিল।

এদিকে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ কবে থামবে, তার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না বলে এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এই যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়েছে। অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হচ্ছে। শান্তি প্রতিষ্ঠায় তুরস্ক ও বেলারুশে রাশিয়া ও ইউক্রেনের নেতারা একাধিকবার বৈঠক করলেও তাতে কার্যত কোনো ফল আসেনি। আলোচনা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।