ইউক্রেনে ১০ বছর যুদ্ধ চলতে পারে: যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস
ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস বলেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ ১০ বছর পর্যন্ত চলতে পারে। পররাষ্ট্রনীতি-বিষয়ক এক অনুষ্ঠান শেষে রাতের খাওয়ার সময় গতকাল বুধবার এ কথা বলেন তিনি। পশ্চিমা বিশ্বকে সতর্ক করে তিনি বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সফল হলে ইউরোপজুড়ে দুর্দশা আরও বাড়বে এবং বিশ্বে ভয়াবহ পরিণতি তৈরি হবে। দীর্ঘ সময় ইউক্রেনে এ যুদ্ধ চলতে পারে এবং ইউরোপকে এর জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেন তিনি। খবর রয়টার্সের।

যুক্তরাজ্যের সরকারি কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, রাশিয়াকে ইউক্রেনের অঞ্চল দখলের সুযোগ করে দিলে পুতিন প্রতিবেশী জর্জিয়া মলদোভায় হামলা করতে পারেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস গতকাল তাঁর বক্তব্যে পুতিনকে মরিয়া ও বেপরোয়া হিসেবে অভিহিত করে বলেন, তাঁর এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে হবে। লিজ ট্রাস বলেছেন, গ্রেট ব্রিটেন এবং তার মিত্রদের দ্রুততার সঙ্গে আরও একধাপ এগিয়ে ইউক্রেন থেকে রুশ বাহিনীকে তাড়িয়ে রাশিয়ায় ফেরত পাঠানো উচিত।

আরও পড়ুন

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন সংকটকে অবশ্যই একটি অনুঘটক হিসেবে ব্যবহার করা উচিত, যাতে পশ্চিমের দৃষ্টিভঙ্গি ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা নিয়ে অবস্থান পাল্টানো যায়। এদিকে যুক্তরাজ্যের বিশ্বজুড়ে কৌশলগত জোট তৈরি করতে হবে এবং আগ্রাসনকারীদের ঠেকাতে অর্থনৈতিক শক্তি ব্যবহার করতে হবে। তিনি বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর জোট জি-৭-এর অবশ্যই একটি অর্থনৈতিক ন্যাটো হিসেবে এবং সবার সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তায় কাজ করতে হবে।

এদিকে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যখন এ কথা বলছেন, একই দিনে ইউক্রেনে হস্তক্ষেপ করার ব্যাপারে পশ্চিমাদের সতর্ক করেছেন পুতিন। ‘কৌশলগত নিরাপত্তা’ হুমকির মুখে পড়লে রাশিয়া অস্ত্র ব্যবহারে পিছপা হবে না বলে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। গতকাল সেন্ট পিটার্সবার্গে আইনপ্রণেতাদের এক অনুষ্ঠানে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। ইউক্রেনে কোনো দেশ যদি ‘হস্তক্ষেপ’ করে, তাহলে মস্কোর পক্ষ থেকে দ্রুত জবাব দেওয়া হবে বলেও সতর্ক করেন তিনি।

আরও পড়ুন

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রুশ বাহিনী। একে আগ্রাসন হিসেবে অভিহিত করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। কিন্তু ইউরোপের দেশগুলোর রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতার কারণে দেশটির জ্বালানি আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। এদিকে পশ্চিমাদের একের পর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রুশ বাহিনী এখনো ইউক্রেনে হামলা বন্ধ করেনি।