ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য নিয়ে সিরিয়ার বন্দরে রুশ জাহাজ

ক্রিমিয়ার বন্দরে রাশিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ
ছবি: মাক্সার টেকনোলজিসের সৌজন্যে

খাদ্যশস্যবোঝাই একটি রুশ জাহাজ সিরিয়ার লাতাকিয়া বন্দরে ভিড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ইউক্রেন থেকে চুরি করে এসব শস্যদানা জাহাজে করে সিরিয়ায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। চার সপ্তাহে ইউক্রেন থেকে চুরি করা শস্যদানার এটি দ্বিতীয় চালান। প্রমাণস্বরূপ উপগ্রহচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে। খবর মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের।

যুক্তরাষ্ট্রের মাক্সার টেকনোলজিসের প্রকাশিত নতুন ছবিতে দেখা যায়, ২৭ মে রাশিয়ার পতাকাবাহী একটি জাহাজ মাতরোস পোজিনিক বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য নিয়ে সিরিয়ার লাতাকিয়া বন্দরে নোঙর করেছে।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার পর ক্রিমিয়ার সেভাস্তোপোলে এখন পর্যন্ত তিনটি জাহাজে খাদ্যশস্য বোঝাই করতে দেখা যায়। এর মধ্যে মাতরোস পোজিনিক একটি। সর্বশেষ ১৯ মে এটি সেভাস্তোপোলে দেখা যায়।

এরপর জাহাজটিকে বসফরাস প্রণালি ও তুরস্কের দক্ষিণ উপকূল হয়ে যেতে দেখা গেছে। জাহাজটি আনুমানিক ৩০ হাজার টন খাদ্যশস্য পরিবহন করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত দুই সপ্তাহে সেভাস্তোপোল বন্দরে মাতরোস পোজিনিকের মতো দেখতে আরও একটি জাহাজে শস্যদানা ভর্তি করতে দেখা যায় বলে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে।

এর আগে সিএনএন দাবি করেছিল, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের খামার ও গুদাম থেকে শস্যদানা নিয়ে ট্রাকের বহর ক্রিমিয়ায় যেতে দেখা গেছে। এ মাসের শুরুতে ইউক্রেনের সরকারি কর্তৃপক্ষ দাবি করে, দখল করা এলাকা থেকে রুশ সেনারা চার লাখ টনের বেশি খাদ্যশস্য জব্দ করেছে।

ইউক্রেন হলো বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও শীর্ষ খাদ্যশস্য উৎপাদনকারী দেশ। রুশ বাহিনী খাদ্যশস্য ‘চুরি’ করায় দেশটির ফসল হুমকির মুখে পড়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। অপর দিকে রাশিয়ায় খাদ্যশস্য একটি আকর্ষণীয় ও জরুরি পণ্য। বিশ্ববাজারে ১ টন গমের দাম এখন ৪০০ ডলার। ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে এ বছর বিশ্ববাজারে গমের দাম হঠাৎ বেড়েছে।