ইউক্রেন থেকে সেনা সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ইউক্রেনে অবস্থান করা মার্কিন সেনাসদস্যের প্রায় সবাইকে দেশটি থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।
ফাইল ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেন-রাশিয়া ইস্যুতে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ইউরোপে সামরিক উপস্থিতি জোরদার করেছে পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটো। মস্কোকে সামাল দিতে ইউরোপের নানা দেশে সামরিক সরঞ্জাম পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি যখন উত্তপ্ত, তখন ঘোষণা এসেছে, ইউক্রেনে অবস্থান করা মার্কিন সেনাসদস্যের প্রায় সবাইকে দেশটি থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। খবর এএফপির।

স্থানীয় সময় শনিবার এ ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি। তিনি বলেন, ইউক্রেনে অবস্থান করা ফ্লোরিডা ন্যাশনাল গার্ডের ১৬০ সদস্যকে সাময়িকভাবে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। ইউক্রেনীয় সেনাদের পরামর্শক হিসেবে তাঁরা দেশটিতে অবস্থান করছেন।

ইতিমধ্যে ইউক্রেন সীমান্তে লাখো সেনার সমাবেশ ঘটিয়েছে মস্কো। নিয়মিতভাবে চলছে সামরিক মহড়াও। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো বারবার দাবি করে আসছে, ইউক্রেনে হামলা চালাতেই রাশিয়ার এমন পদক্ষেপ। হামলার আশঙ্কায় দেশটি থেকে মার্কিন নাগরিকদের দ্রুত সরে যেতে বলেছে হোয়াইট হাউস। রাজধানী কিয়েভ থেকে মার্কিন কূটনীতিকদেরও পোল্যান্ড সীমান্তের কাছে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ইউক্রেন থেকে মার্কিন সেনাদের সরিয়ে আপাতত ইউরোপের অন্যত্র মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন জন কিরবি। ২০১৫ সাল থেকে তাঁরা পরামর্শক হিসেবে ইউক্রেনে অবস্থান করছেন। একই কাজে ইউক্রেনে রয়েছেন কানাডা ও জার্মানির মতো ন্যাটোর অন্য সদস্য দেশগুলোর সেনারাও।

তবে সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তাদানের অবস্থানের বদল নয় বলে জানান পেন্টাগনের মুখপাত্র।

এদিকে ইউক্রেন ঘিরে পশ্চিমা বিশ্বে উত্তেজনা যখন চরমে, তখন দফায় দফায় চলছে কূটনীতিক বৈঠক। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর।

এর আগে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘শনিবার সকালে তাঁরা (বাইডেন ও পুতিন) ফোনে কথা বলবেন। রাশিয়া সোমবার এ ফোনালাপের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু আমরা পাল্টা শনিবারের প্রস্তাব দিই। আমাদের প্রস্তাবে তারা রাজি হয়।’