ইউক্রেন নিয়ে পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন বাইডেন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন
ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনে সম্ভাব্য রুশ সামরিক আগ্রাসন নিয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই আজ শনিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে আলোচনা করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা আজ এ কথা জানিয়েছেন। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

এর আগে গতকাল শুক্রবার ওয়াশিংটন বলে, ইউক্রেনে বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালানোর জন্য যথেষ্ট সেনা ইউক্রেন সীমান্তে মোতায়েন করেছে রাশিয়া।

হোয়াইট হাউসের ওই কর্মকর্তা আজ রয়টার্সকে বলেন, ‘শনিবার সকালে তাঁরা (বাইডেন ও পুতিন) ফোনে কথা বলবেন। রাশিয়া আগামী সোমবার এই ফোনালাপের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু আমরা পাল্টা শনিবারের প্রস্তাব দিই। আমাদের প্রস্তাবে পরে তারা রাজি হয়।’

ইউক্রেনে সম্ভাব্য রুশ সামরিক অভিযানের আশঙ্কা থেকে নিজেদের নাগরিকদের অবিলম্বে ইউক্রেন ছাড়তে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পাঁচটি দেশ। এ জন্য ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়ে স্থানীয় সময় গতকাল হোয়াইট হাউস নির্দেশনা জারি করে। যুক্তরাজ্য, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, নেদারল্যান্ডস একই ঘোষণা দিয়েছে।

এদিকে জরুরি কাজে নিয়োজিত নন—এমন কর্মীদের ইউক্রেনের কূটনৈতিক মিশন ছাড়তে বলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
গতকাল মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান সতর্ক করেছেন, ‘ইউক্রেনে বড় ধরনের সামরিক হস্তক্ষেপের জন্য রুশ বাহিনী চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছে। যদিও আমরা ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছুই বলতে পারব না, তবে এটা বলতে পারি, বর্তমানে সামরিক আগ্রাসনের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়েছে।’

জ্যাক সুলিভানের এমন সতর্কবার্তার পরপরই হোয়াইট হাউস পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মার্কিন নাগরিকদের ইউক্রেন ত্যাগের নির্দেশনা দেয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট বাইডেন মার্কিন নাগরিকদের অবিলম্বে ইউক্রেন ছাড়তে বলেছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, ইউক্রেন সীমান্তে লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। যেকোনো সময় ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাতে পারে দেশটি। তবে রাশিয়া বরাবরই পশ্চিমাদের তোলা এ অভিযোগ অস্বীকার করছে। দেশটি বলছে, ইউক্রেনে হামলা চালানোর কোনো পরিকল্পনা মস্কোর নেই।