ইউরোপের করোনার টিকায় উপেক্ষিত মানসিক রোগীরা

করোনার টিকার প্রতীকী ছবি

ইউরোপের অধিকাংশ দেশে করোনার টিকাদান কৌশলে মানসিকভাবে অসুস্থ রোগীদের উপেক্ষা করা হচ্ছে। গবেষণার বরাত দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

মানসিকভাবে অসুস্থ রোগীদের করোনায় সংক্রমিত হওয়া ও মারা যাওয়ার ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি। তা সত্ত্বেও ইউরোপের অধিকাংশ দেশের টিকাদান পরিকল্পনায় তারা উপেক্ষিত রয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে গতকাল বুধবার সতর্ক করেছে ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় মানসিক স্বাস্থ্য সংগঠনগুলো।

এ বিষয়ে করা জরিপভিত্তিক গবেষণার ফলাফল গতকাল বুধবার ল্যানসেট সাইকিয়াট্রি সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়। জরিপে দেখা যায়, ২০টি ইউরোপীয় দেশের মধ্যে নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ডেনমার্কে করোনার টিকাদান পরিকল্পনায় গুরুতর মানসিক অসুস্থতাকে একটি অত্যন্ত ঝুঁকির বিষয় হিসেবে স্বীকার করা হয়েছে। এই রোগীদের টিকাদানের বিষয়ে পরিকল্পনায় সুনির্দিষ্ট বিধান রাখা হয়েছে।

গবেষণার নেতৃত্ব দেওয়া ব্যক্তিদের একজন লিভিয়া ডি পিকার। তিনি বেলজিয়ামের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তিনি বলেন, টিকাদানের অধিকাংশ পরিকল্পনায় মানসিকভাবে অসুস্থ রোগীরা পুরোপুরি অবহেলিত। এই অবস্থার পরিবর্তন দরকার।

অধ্যাপক লিভিয়া জানান, সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, যদি কারও মানসিক ভারসাম্যহীনতা থাকে, তাহলে তার করোনায় সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি ৬৫ শতাংশ বাড়ে। আর গুরুতর মানসিক রোগীর করোনায় মৃত্যুর ঝুঁকি দেড় থেকে দুই গুণ বেশি।

ঝুঁকিতে থাকা মানসিক রোগীদের টিকাদানকে অগ্রাধিকার দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গবেষকসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো।