এবার ইউক্রেনের স্লোভিয়ানস্কে ‘প্রচণ্ড লড়াই’ হতে যাচ্ছে

ইউক্রেনে ৭২টি ১৫৫ এমএম হাউইৎজার পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
ছবি: রয়টার্স

লিসিচানস্ক শহর দখলের মধ্য দিয়ে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় লুহানস্কের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করেছে রাশিয়া। এখন দনবাসের দোনেৎস্ক অঞ্চলের দিকে নজর রুশ বাহিনীর। সেখানকার স্লোভিয়ানস্ক শহরে ‘প্রচণ্ড লড়াই’ শুরু হতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে রুশ বাহিনীর হামলায় সেখানে ছয়জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২০ জন। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ এ কথা জানিয়েছে। খবর আল–জাজিরার।

লড়াই এখন ক্রমশই পূর্বাঞ্চলীয় শহর স্লোভিয়ানস্কের নিকটবর্তী হচ্ছে। সেখানকার বাসিন্দা ও সেনারা অত্যাসন্ন রুশ হামলা মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সেনা বলেন, ‘প্রত্যেকেই জানেন, স্লোভিয়ানস্কে প্রচণ্ড এক লড়াই হবে।’

রুশ হামলার শুরুতেই লড়াইয়ে যোগ দিয়েছেন ২৩ বছর বয়সী পেশায় এক হিসাবরক্ষক। এই ইউক্রেনীয় সেনা জানান, অগ্রসরমান রুশ সেনাবাহিনীর তুলনামূলক আধুনিক অস্ত্রের মোকাবিলায় ইউক্রেনীয় বাহিনীর সে ধরনের অস্ত্র নেই। করুণ হাসিতে তিনি বলেন, ‘আমরা জানি, সামনে কী পরিস্থিতি আসছে।’

এর আগে ২০১৪ সালে স্লোভিয়ানস্ক তিন মাসের মতো দখলে রেখেছিল রুশ–সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। স্বল্প সময়ের ওই নিয়ন্ত্রণকালে শহরটিতে ত্রাসের সৃষ্টি হয়। কয়েক ডজন সরকারি কর্মকর্তা ও সাংবাদিককে বন্দী করা হয়। এ ছাড়া কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও ঘটে।

শহরের মেয়র বলেন, স্লোভিয়ানস্কে হামলা তীব্রতর হচ্ছে। দিনে কমপক্ষে চার থেকে পাঁচবার গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে। গত সপ্তাহ থেকে গুচ্ছ বোমার ব্যবহারও বেড়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, গতকাল রোববার স্লোভিয়ানস্ক ও ক্রামাতোরস্ক শহরে গোলাবর্ষণ করেছে রুশ সেনাবাহিনী। খারকিভ শহরেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় মাল্টিপল লঞ্চার রকেট সিস্টেমের পাশাপাশি সোভিয়েত আমলের স্মের্চ রকেট ব্যবহার করা হয়।

রাত্রিকালীন ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, শুধু স্লোভিয়ানস্কেই ছয়জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২০ জন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ইয়েভা নামের এক শিশুও রয়েছে। আগস্টে তার বয়স হতো ১০ বছর।

আরও পড়ুন

জেলেনস্কি আরও বলেন, ইউক্রেনের শহরের পর শহর ধ্বংস করে দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত স্মের্চ, উরাগান, গ্রাদ রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা রাশিয়ার আছে। তারা এখন তাদের সর্বোচ্চ সামরিক শক্তি দনবাসে জড়ো করছে।

লিসিচানস্ক দখলের মধ্য দিয়ে প্রতিবেশী দোনেৎস্কে হামলা জোরদারে আরও ভূখণ্ড ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছে রুশ বাহিনী। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তারা দোনেৎস্কের প্রায় অর্ধেক এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছিল বলে মনে করা হয়। তবে বর্তমানে তা কোন পর্যায়ে আছে, সেটা স্পষ্ট নয়।

আরও পড়ুন