কূটনৈতিক মিশনের কিছু কর্মীকে ইউক্রেন ছাড়তে বলেছে ইইউ

প্রতীকী ছবি
ছবি: এএফপি

জরুরি কাজে নিয়োজিত নন—এমন কর্মীদের ইউক্রেনের কূটনৈতিক মিশন ছাড়তে বলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশ তাদের নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়তে বলার পর ইইউর পক্ষ থেকেও তাদের কর্মীদের জন্য একই নির্দেশনা এল। তবে ইইউর মুখপাত্র পিটার স্টানো বলেছেন, এ ব্যাপারে তাঁরা আনুষ্ঠানিক কোনো আদেশ জারি করেননি। খবর এএফপির।

যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, ইউক্রেন সীমান্তে লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। যেকোনো সময় ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাতে পারে দেশটি। তবে রাশিয়া বারবারই পশ্চিমাদের তোলা এ অভিযোগ অস্বীকার করছে। দেশটি বলছে, ইউক্রেনে হামলা চালানোর কোনো পরিকল্পনা মস্কোর নেই। ইতিমধ্যে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক হামলার আশঙ্কা জানিয়ে নিজেদের নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়তে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নরওয়ে, লাটভিয়াসহ কয়েকটি দেশ।

ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যম ইইউ অবজারভারের বরাতে এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল শুক্রবার ইউক্রেনে নিয়োজিত ইইউর দূত মাত্তি মাসিকাস এক ই–মেইল বার্তায় জরুরি নন—এমন কর্মীদের কূটনৈতিক মিশন ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ই–মেইলে তিনি লিখেছেন, ‘জরুরি কাজে নিয়োজিত কর্মীরা ছাড়া যেসব প্রবাসী সহকর্মী আছেন, তাঁরা ইউক্রেন থেকে চলে যাবেন এবং দেশের বাইরে থেকে যুক্ত হয়ে তাঁদের কাজ সারবেন।’

স্থানীয় সময় গতকাল ইইউর মুখপাত্র পিটার স্টানো বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে যাব। আমাদের কর্মীদের সুরক্ষিত থাকার অনুকূল পরিস্থিতি আছে কি না, তা দেখব। পাশাপাশি ইইউরর সদস্যরাষ্ট্রগুলোর সঙ্গেও নিবিড় আলোচনা ও সমন্বয় বজায় থাকবে।’

জরুরি কাজে নিয়োজিত নন—এমন কর্মীদের ইউক্রেন ছাড়ার পরামর্শ দেওয়ার ব্যাপারে পিটার স্টানো বলেন, ‘আমরা কর্মীদের সরিয়ে নিচ্ছি না। যেসব কর্মী জরুরি কাজে নিয়োজিত নন, তাঁদের দেশের বাইরে থেকে যুক্ত করে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।’
১৯৯৩ সাল থেকে কিয়েভে ইইউর প্রতিনিধিদল কাজ করছে। ইউক্রেনের সঙ্গে জোটটির সম্পর্কোন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে তারা।