নিষেধাজ্ঞা ব্যর্থ, উল্টো ভুগছে পশ্চিমের অর্থনীতি: পুতিন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন
ছবি রয়টার্স

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়ার ওপর আরোপ করা পশ্চিমাদের একের পর এক নিষেধাজ্ঞা ব্যর্থ হয়েছে। প্রতিবেশী ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর পর রাশিয়ার ওপর এসব নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। নিষেধাজ্ঞার কারণে পশ্চিমাদের অর্থনীতি খারাপ হয়েছে বলেও দাবি করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। খবর আল-জাজিরার।

গতকাল সোমবার পুতিন বলেন, পশ্চিমারা আশা করেছিল, আর্থিক-অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে বিপর্যয় সৃষ্টি হবে। বাজারে ভীতি ছড়িয়ে পড়বে। ব্যাংকিং ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। দোকানগুলোতে পণ্যের আকাল দেখা দেবে।

পুতিন আরও বলেন, ‘আকস্মিক অর্থনৈতিক আঘাতের কৌশল ব্যর্থ হয়েছে। এতে উল্টো পশ্চিমের অর্থনীতির পতন হয়েছে।’ শীর্ষ অর্থনৈতিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের সময় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত মন্তব্যে পুতিন এসব কথা বলেন।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। মস্কো এটাকে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলছে। এরপর রাশিয়ার করপোরেট ও আর্থিক ব্যবস্থার ওপর নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে পশ্চিমা দেশগুলো।

পুতিন বলেন, রাশিয়া নজিরবিহীন এ চাপ ঠেকিয়ে দিয়েছে। তাঁর যুক্তি, রুশ মুদ্রা রুবল শক্তিশালী হয়েছে। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৫৮ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য উদ্বৃত্তের রেকর্ড হয়েছে।

অন্যদিকে তাঁর মতে, নিষেধাজ্ঞায় উল্টো যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্ররা বিপদে পড়েছে। এতে তাদের মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে এবং জীবনযাত্রার মান কমেছে।

অবশ্য রাশিয়ায় ভোগ্যপণ্যের ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি স্বীকার করেছেন পুতিন। তিনি বলেন, বছরভিত্তিক হিসাবে এপ্রিল নাগাদ ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ মূল্য বেড়েছে। আয়ের ওপর মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব লাঘব করতে বেতন ও অন্যান্য ভাতাদি সামঞ্জস্য করতে সরকারকে নির্দেশনা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

ঋণদান কর্মকাণ্ডে সংকোচন পরিস্থিতিতে অর্থনীতি ও তারল্য স্বাভাবিক রাখতে রাশিয়ার বাজেটকে কাজে লাগানো উচিত বলেও মন্তব্য করেন পুতিন। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদহার কমানোয় ঋণদান আরও সুলভ হবে। তিনি আরও বলেন, নতুন পরিস্থিতিতে বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দেশীয় মুদ্রা ব্যবহারের প্রক্রিয়া জোরদার করা উচিত।

চলতি বছর রাশিয়ার অর্থনীতি ১১ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে দেশটির অর্থনীতি।