পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল মাখোঁর দল

দুই মাসেরও কম সময় আগে প্রেসিডেন্ট পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছিলেন এমানুয়েল মাখোঁ
ছবি: রয়টার্স

ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর জোট। দুই মাসেরও কম সময় আগে প্রেসিডেন্ট পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি নির্বাচনে ভালো ফলাফল করেছে বাম-গ্রিন জোট ও কট্টর ডানপন্থীরা। খবর বিবিসি ও আল-জাজিরার।

পার্লামেন্ট নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন মাখোঁ। কিন্তু তাঁর মধ্যপন্থী জোট কয়েক ডজন আসন হারিয়েছে। এতে ফরাসি রাজনীতি আরও ভাগ হলো।

সম্প্রতি এলিজাবেথ বর্নিকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছিলেন মাখোঁ। এই পরিস্থিতিকে নজিরবিহীন বললেন বর্নি। প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ থেকে নিজের বাসভবনে ফিরে তিনি বলেন, আধুনিক ফ্রান্স কখনো এমন ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি দেখেনি।

ফ্রান্সের ৫৭৭ আসনের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ২৮৯ আসন। কিন্তু মাখোঁর মধ্যপন্থী জোট এনসেম্বলে পেয়েছে ২৪৫টি আসন।

তারকা বামপন্থী নেতা জ্যঁ-লুক মেলেশঁ এই নির্বাচনে বাজিমাত করেছেন। বামপন্থী ও গ্রিনদের নিয়ে গঠিত তাঁর নিউ ইকোল্যজিক্যাল অ্যান্ড সোশ্যাল পপুলার ইউনিয়ন (এনইউপিইএস) জোট পেয়েছে ১৩১ আসন। অন্য বামপন্থী দলগুলো পেয়েছে ২২ আসন।

কট্টর ডানপন্থী মেরিন লঁ পেনের নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাশনাল র‌্যালির আসন বেড়েছে। তারা পেয়েছে ৮৯টি আসন। ডানপন্থী রিপাবলিকানস (ইউডিআই) পেয়েছে ৬৪ আসন।

নির্বাচনের ফলাফলের প্রতিক্রিয়া প্রধানমন্ত্রী বর্নি বলেছেন, ‘এই পরিস্থিতি আমাদের দেশের ঝুঁকির বিষয়টি তুলে ধরেছে। এসব ঝুঁকি আমরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে মোকাবিলা করছি। কার্যকর সংখ্যাগরিষ্ঠতা গড়ে তুলতে আমরা কাল থেকে কাজ করব।’

তবে কাজটি এতটা সহজ হবে না। কারণ অ্যাসেম্বলির দুটি বড় জোটই সহযোগিতার বিষয়ে কম আগ্রহী। তবে এ বিষয়ে অনমনীয় অর্থমন্ত্রী ব্রুনো ল্য মেয়ার। যদিও এ জন্য অনেক কিছু করতে হবে বলে মানছেন তিনি।

অতি বামপন্থী নেতা হিসেবে পরিচিত মেলেশঁ সমর্থকদের বলেছেন, প্রেসিডেন্টের দল ধরাশায়ী হয়েছে। তাঁদের হাতে এখন সব সম্ভাবনাই রয়েছে।

মেরিন লঁ পেন বলেছেন, এমানুয়েল মাখোঁর দুঃসাহসিক অভিযাত্রার ইতি ঘটল। তাঁকে সংখ্যালঘু সরকারে নামিয়ে আনা হয়েছে।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, মাখোঁর জোটের সামনে দুটি পথ খোলা। অন্যদের জোটে ভিড়িয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করা অথবা সংখ্যালঘু সরকার চালিয়ে যাওয়া। সংখ্যালঘু সরকার চালিয়ে গেলে প্রতিটি বিল পাসের সময় দলগুলোর সঙ্গে তাঁর জোটকে আলাদাভাবে মতৈক্যে পৌঁছাতে হবে।

আরও পড়ুন