বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে কথা বললেন হ্যারি

প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেল
ফাইল ছবি

বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রিন্স হ্যারি। এর আগে ৭ মার্চ কয়েক শ বছরের পুরোনো ব্রিটিশ রাজপরিবার সম্পর্কে বিস্ফোরক এক সাক্ষাৎকারে অনেক অজানা ও অপ্রিয় কথা শোনান হ্যারি–মেগান দম্পতি।

রাজপরিবারের বর্ণবাদী ও কর্তৃত্বপরায়ণ আচরণ নিয়ে অভিযোগ তোলেন প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী মেগান মার্কেল। হ্যারি অভিযোগ করেন, বাবা প্রিন্স চার্লস তাঁর আর্থিক খরচ কমিয়ে দেন এবং যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। ভাই প্রিন্স উইলিয়ামের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

হ্যারি ও মেগান রাজকীয় দায়িত্ব ছেড়ে এখন ক্যালিফোর্নিয়ায় আলাদা বসবাস শুরু করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে সিবিএস টিভিতে হ্যারি-মেগানের সাক্ষাৎকারটি প্রচারিত হয়। ‘অপরাহ্ উইথ মেগান অ্যান্ড হ্যারি: এ সিবিএস প্রাইমটাইম স্পেশাল’ শিরোনামের বিশেষ টেলিভিশন শোতে মেগান অভিযোগ করেন, তাঁর অনাগত সন্তানকে নিয়ে বর্ণবাদী কথা বলেন রাজপরিবারের একজন সদস্য।

হ্যারি-মেগান দম্পতির বন্ধু ও মার্কিন এক টেলিভিশন উপস্থাপক গেইলন কিং বলেন, ‘তাঁদের অনুভূতি জানতে ফোন কল করেছিলাম। জেনেছি যে ওই সাক্ষাৎকারের পর হ্যারি তাঁর ভাই ও বাবার সঙ্গে কথা বলেছেন।’

কিং আরও বলেন, ‘বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে কথার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ছিল না। তবে তারা আলোচনা শুরু করতে পেরে খুশি। তবে ওই সাক্ষাৎকার প্রচারের পর রাজপরিবারের বর্ণবাদের বিষয়টি যেভাবে সংবাদের অ্যাজেন্ডা হয়েছে, তা নিয়ে তাঁরা হতাশ।

ওই সাক্ষাৎকার প্রকাশের পর গত মঙ্গলবার রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বাকিংহাম প্যালেস জানায়, গত কয়েক বছর হ্যারি ও মেগানের জন্য কতটা সমস্যাপূর্ণ ছিল, তা পুরোটা জানতে পেরে পুরো পরিবার দুঃখ পেয়েছে।

বাকিংহাম প্যালেসের বিবৃতিতে বলা হয়, যে বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে, বিশেষ করে বর্ণবাদের বিষয়টি উদ্বেগজনক। এগুলো অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। পারিবারিকভাবেই বিষয়গুলো সুরাহা করা হবে।