মাঙ্কিপক্স মহামারিতে রূপ নেবে বলে মনে করে না ডব্লিউএইচও

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)
ছবি: রয়টার্স

মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব মহামারিতে রূপ নেবে বলে মনে করে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। খবর এএফপির।

গতকাল সোমবার ডব্লিউএইচওর মাঙ্কিপক্স-সংক্রান্ত শীর্ষ বিশেষজ্ঞ রোজামুন্ড লুইস এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।

মাঙ্কিপক্স পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার দেশগুলোর একটি স্থানীয় রোগ। এই রোগ এখন আফ্রিকার বাইরে শনাক্ত হচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে রোজামুন্ড লুইসের কাছে জানতে চাওয়া হয়ছিল, মাঙ্কিপক্স বিশ্বে আরেকটি মহামারির জন্ম দিতে পারে কি না।

জবাবে রোজামুন্ড লুইস বলেন, আফ্রিকার বাইরে মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব বিশ্বকে একটি মহামারির দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে মনে করে না জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্থা।

রোজামুন্ড লুইস বলেন, মাঙ্কিপক্স মহামারিতে রূপ নিতে পারে বলে তাঁরা মনে করেন না।

ডব্লিউএইচওর মাঙ্কিপক্স-সংক্রান্ত শীর্ষ বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা বিশ্বব্যাপী মহামারি নিয়ে উদ্বিগ্ন নই।’

আরও পড়ুন

তবে ভাইরাসটির বিস্তার রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে মনে করেন রোজামুন্ড লুইস। তিনি বলেন, মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব আরও বিস্তার লাভ করার আগে তা বন্ধ করা এখনো সম্ভব।

মাঙ্কিপক্স ছড়ানোর ঘটনাকে ‘অস্বাভাবিক পরিস্থিতি’ হিসেবে অভিহিত করে উদ্বেগ জানিয়েছিল ডব্লিউএইচও। তবে গতকাল সংস্থাটি বলেছে, এই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

রোজামুন্ড লুইস বলেন, ‘আমাদের সবার ভয় পাওয়া উচিত বলে আমি মনে করি না।’

ডব্লিউএইচওর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা বলেন, মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত যেসব ব্যক্তির কোনো উপসর্গ নেই, তাঁরা অন্যদের সংক্রমিত করতে পারেন কি না, সে বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়।

আরও পড়ুন

আফ্রিকায় প্রায়ই এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা যায়। কিন্তু আফ্রিকার বাইরে গত মার্চে ইউরোপে প্রথম ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। বিভিন্ন দেশে ভাইরাসটি শনাক্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

ডব্লিউএইচওর কাছে এখন পর্যন্ত বিশ্বের প্রায় ২৫টি দেশ মাঙ্কিপক্স-সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করেছে। এই তথ্যমতে, নিশ্চিত শনাক্ত ও সন্দেহভাজন মাঙ্কিপক্স রোগীর সংখ্যা ৪০০ জনে পৌঁছেছে।

মাঙ্কিপক্স রোগের তীব্রতা বেশ কম। বেশির ভাগ রোগী তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে রোগ থেকে সেরে ওঠেন।