রুশ তেল শোধনাগারে হামলা

আগুন নেভাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
ছবি: রাশিয়ার ইমার্জেন্সি মন্ত্রণালয়ের সৌজন্যে

ইউক্রেন সীমান্তসংলগ্ন রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের রোস্তাভ এলাকার একটি তেল শোধনাগারে ড্রোন হামলা হয়েছে। তবে এ হামলা কে বা কারা চালিয়েছে, তার দায় কেউ স্বীকার করেনি। এ হামলার ফলে বুধবার এ কেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। রোস্তাভ অঞ্চলের আঞ্চলিক গভর্নর ভাসিলি গলুবেভ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন। ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর রাশিয়ার ভেতর আগুন বা নাকশতামূলক হামলা বেড়েছে।

ভাসিলি জানিয়েছেন, নভোশাখতিনস্ক তেল শোধনাগারে সম্ভবত ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে। শোধনাগারটিতে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। সেখানে দুটি ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। তবে ড্রোনের উৎস সম্পর্কে তিনি কিছু বলেননি।

ভাসিলি বলেন, আগুন নিভিয়ে সব কর্মীকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। এ হামলায় কেউ হতাহত হননি। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এর আগে রাশিয়ার পক্ষ থেকে সীমান্ত এলাকায় একাধিক হামলার জন্য কিয়েভকে দায়ী করা হয়েছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ সেনাদের হামলা শুরুর পর থেকে রাশিয়ার সীমান্ত এলাকায় এ ধরনের ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে দেশটির সেনাবাহিনী ও রুশ বাহিনীর সঙ্গে তীব্র লড়াইয়ের মধ্যে দক্ষিণের শহর মিকোলাইভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে মস্কো। গতকাল সাতটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে শহরটিতে। ওই অঞ্চলের গভর্নর ভিতালি কিম টেলিগ্রাম অ্যাপে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

অন্যদিকে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটির প্রেসিডেন্ট ও জি–২০ চেয়ারম্যান জোকো উইদোদো আগামী সপ্তাহে ইউক্রেন ও রাশিয়ার নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তিনি মূলত যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি ফেরাতে ও বিশ্বে খাদ্যসংকট নিরসনে করণীয় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবেন।

বিশ্বের ধনী ও উন্নয়নশীল দেশের সমন্বয়ে গঠিত জি-২০ সম্মেলন ইন্দোনেশিয়ার আয়োজনে আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মেলন থেকে বাদ দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। এটা করা না হলে সম্মেলন বয়কটের হুমকি দিয়েছে তারা।

আরও পড়ুন