শিশুদের ওপর অক্সফোর্ডের করোনার টিকা পরীক্ষার উদ্যোগ

অক্সফোর্ডের গবেষকেরা টিকা নিয়ে গবেষণা করছেন
ছবি: রয়টার্স

শিশুদের ক্ষেত্রে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি কতটা কার্যকর, তা নিয়ে যুক্তরাজ্যে পরীক্ষা চালানো হবে। এ পরীক্ষায় ৩০০ স্বেচ্ছাসেবক অংশ নেবে। চলতি মাসের শেষ দিকে পরীক্ষামূলক টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এ পরীক্ষার মাধ্যমে গবেষকেরা ছয় থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিলে শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি হয় কি না, তা নির্ণয় করবেন।

বর্তমানে যুক্তরাজ্যে কোভিড-১৯–এর বিরুদ্ধে অক্সফোর্ডের টিকাটির পাশাপাশি ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে।

পরীক্ষায় ২৪০টি শিশুকে অক্সফোর্ডের টিকা দেওয়া হবে। বাকিদের নিয়ন্ত্রিত উপায়ে মেনিনজাইটিসের টিকা দেওয়া হবে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, সেন্ট জর্জ ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল, সাউদাম্পটন ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল, ব্রিস্টল রয়্যাল হাসপাতাল ফর চিলড্রেনের আশপাশের স্বেচ্ছাসেবকদের এ টিকা দেওয়া হবে।

অক্সফোর্ডের টিকা পরীক্ষা কর্মসূচির প্রধান অ্যান্ড্রু পোলার্ড বলেন, করোনার সময় অধিকাংশ শিশুই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়নি। তবে শিশু ও কিশোরদের নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। এতে শিশুরা টিকার মাধ্যমে সুবিধা পেতে পারে।

যুক্তরাজ্যে বর্তমানে শিশুদের টিকা দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। এই টিকাটি যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের দেওয়া হচ্ছে। আর ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

গত সপ্তাহে ইংল্যান্ডের উপপ্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা জোনাথন ভ্যান-ট্যাম বলেন, শিশুদের জন্য নিরাপদ ও কার্যকর করোনার টিকা তৈরিতে কয়েকটি পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। এ বছরের শেষ নাগাদ কিছু অনুমোদিত টিকা পাওয়া সম্ভব হতে পারে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, ৬ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের জন্য করোনার টিকার পরীক্ষা এটিই প্রথম। অন্য একটি পরীক্ষায় শুধু ১৬ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে টিকার কার্যকারিতা দেখা হচ্ছে।