সেভেরোদোনেৎস্কে চলছে ইউক্রেনের ‘তীব্রতম’ লড়াই

ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী সেনারা
ফাইল ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের সেভেরোদেনেৎস্ক শহরে ‘তীব্রতম’ লড়াই চলছে বলে জানিয়েছেন দেশটির সামরিক গোয়েন্দাপ্রধান। তাঁর দাবি, শহরটি থেকে রাশিয়ার সেনারা পিছু হটছেন। তবে লুহানস্ক অঞ্চলের গভর্নর বলছেন, সেভেরোদোনেৎস্কে তাঁদের পরিস্থিতির ‘কিছুটা অবনতি’ হয়েছে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পূর্ব ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সেভেরোদোনেৎস্ক। শহরটির দখল নিতে সম্প্রতি হামলা জোরদার করে রুশ বাহিনী। একপর্যায়ে শহরটির ৮০ শতাংশ রাশিয়ার দখলে চলে যায় বলে দাবি করা হয়েছিল।

এর মধ্যেই আজ সোমবার ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দাপ্রধান মেজর জেনারেল কিরিলো বুদানভ দাবি করেন, সেভেরোদোনেৎস্কে ইউক্রেনের ‘তীব্রতম’ লড়াই চলছে।

শহরটিতে রুশ সেনারা কামান হামলা চালাচ্ছেন। এরপরও ইউক্রেনের সেনারা শহরটি থেকে রুশ সেনাদের ধীরে ধীরে সরিয়ে দিচ্ছেন। তবে গোয়েন্দাপ্রধানের এ দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি বিবিসি।

এর আগে আজ সকালে ইউক্রেনের জাতীয় টেলিভিশনে দেওয়া বক্তব্যে লুহানস্ক অঞ্চলের গভর্নর সেহেরি হাইদাই বলেন, ‘সেভেরোদোনেৎস্কে তীব্র লড়াই চলছে। রুশ হামলার মুখে আমাদের সেনারাও কিছু সময় পাল্টা হামলা চালিয়েছিলেন। তাঁরা শহরটির প্রায় অর্ধেক মুক্ত করেছেন। তবে এখন আবার আমাদের জন্য পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়েছে।’

আরও পড়ুন

এদিকে খারকিভ অঞ্চলে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান মেরামত করা হয়, এমন একটি কারখানার একটি ভবন ধ্বংসের দাবি করেছে মস্কো। এ ছাড়া ইউক্রেনের আরেকটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে বলে আজ সকালে জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

রাশিয়ার দাবি, তাদের হামলায় ইউক্রেনের আরও ১৮টি ট্যাংক ধ্বংস হয়েছে। পাশাপাশি ৪৫০ জন ‘জাতীয়তাবাদীকে’ হত্যা করা হয়েছে। তবে এসব দাবির সত্যতা স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি বিবিসি।

আরও পড়ুন

অপর দিকে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর দেওয়া হালনাগাদ তথ্য বলছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার হামলা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩১ হাজার ২৫০ রুশ সেনাকে হত্যা করেছেন ইউক্রেনের সেনারা।

একই সময়ে রাশিয়ার ১ হাজার ৩৮৬টি ট্যাংক, ৩ হাজার ৪০০টি সাঁজোয়া যান, ৬৯০টি কামান, ২০৯টি রকেট উৎক্ষেপণব্যবস্থা, ৫৫১টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, ৯৬টি আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা, ২১১টি যুদ্ধবিমান, ১৭৬টি হেলিকপ্টার এবং ১৩টি যুদ্ধজাহাজ ও নৌযান ধ্বংসের দাবি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন