হঠাৎ কিয়েভ সফরে বরিস, চান সামরিক প্রশিক্ষণ

যুদ্ধে রুশ সেনাবাহিনীর ধ্বংস হওয়া সামরিক যন্ত্রাংশগুলো সাজিয়ে রাখার জায়গাটি পরিদর্শন করেন জনসন
ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনীয় নিরাপত্তাবাহিনীগুলোর জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালুর প্রস্তাব দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার ইউক্রেনের কিয়েভ সফরে গিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে এ প্রস্তাব দেন তিনি। খবর এএফপির।

কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই গতকাল কিয়েভ সফরে যান বরিস জনসন। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর এটি তাঁর দ্বিতীয়বারের মতো কিয়েভ সফর। বরিসকে ‘বড় বন্ধু’ হিসেবে উল্লেখ করে স্বাগত জানান জেলেনস্কি। ইতিমধ্যে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তোলা একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির, আবারও কিয়েভে আসতে পেরে ভালো লাগছে।’

জনসনের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, ইউক্রেনীয় বাহিনীগুলোর জন্য বড় ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির প্রস্তাব দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। প্রতি ১২০ দিনে ১০ হাজার সেনাকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

জনসন বলেন, ‘যুদ্ধের এ গভীরতম সময়ে আমি ইউক্রেনীয় জনগণের জন্য একটি স্পষ্ট ও সাধারণ বার্তা নিয়ে এসেছি। তা হলো—যুক্তরাজ্য আপনাদের পাশে আছে এবং আপনাদের চূড়ান্ত মুক্তি না মেলা পর্যন্ত পাশে থাকব। এ কারণে আমি প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে বড় ধরনের নতুন সামরিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির প্রস্তাব দিয়েছি, যা এ যুদ্ধের সমীকরণ পাল্টে দিতে পারে।’

বাহিনীগুলোকে সর্বোচ্চ শক্তিশালী করার মধ্য দিয়ে ইউক্রেনের সংকল্পের জয় হবে বলে মনে করেন বরিস জনসন।

ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও রোমানিয়ার নেতারা কিয়েভ সফর করার এক দিনের মাথায় শহরটিতে গেলেন বরিস।

জেলেনস্কি বরিসের কিয়েভ সফর প্রসঙ্গে বলেন, ‘এ যুদ্ধের অনেকগুলো দিন কেটে গেছে। এ সময়ের মধ্যে প্রমাণ হয়েছে, ইউক্রেনের জন্য গ্রেট ব্রিটেনের সমর্থন দৃঢ় এবং অটল। আমাদের দেশের বড় বন্ধু বরিস জনসন আবারও কিয়েভ সফরে আসায় আমরা আনন্দিত।’

এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জেলেনস্কি বলেন, তিনি এবং জনসন যুদ্ধের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। ভারী অস্ত্রের সরবরাহ বাড়ানো এবং ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা নিয়ে দুই নেতা কথা বলেছেন। এ সময় তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন বরিস জনসন।

জেলেনস্কি বলেন, ‘কীভাবে আমরা বিজয়ের দিকে এগিয়ে যাব, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কারণ, এটিই ইউক্রেনের জন্য প্রয়োজন, আমাদের রাষ্ট্রের বিজয়।’

ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে প্রকাশিত ফুটেজে দেখা গেছে, গতকাল জেলেনস্কি ও জনসন নিহত ইউক্রেনীয় সেনাদের স্মৃতিফলকে শ্রদ্ধা জানান। যুদ্ধে রুশ সেনাবাহিনীর ধ্বংস হওয়া সামরিক যন্ত্রাংশগুলো সাজিয়ে রাখার জায়গাটিও পরিদর্শন করেছেন তাঁরা।