জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার বিশেষ দূত থাকছেন না জোলি

অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
ফাইল ছবি: রয়টার্স

হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) বিশেষ দূতের দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ২০ বছরের বেশি সময় ধরে ইউএনএইচসিআরের বিশেষ দূতের দায়িত্ব পালনের পর গতকাল শুক্রবার তিনি এই ঘোষণা দেন। খবর এএফপির।

৪৭ বছর বয়সী হলিউড অভিনেত্রী জোলি জেনেভা-ভিত্তিক ইউএনএইচসিআরের বিশেষ দূতের দায়িত্ব পালনকালে ৬০টির বেশি ‘ফিল্ড মিশন’ করেছেন। এসব মিশনের মধ্য দিয়ে তিনি গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে বাস্তুচ্যুত লাখো মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কথা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেছেন।

জোলি তাঁর সিদ্ধান্ত সম্পর্কে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, জাতিসংঘের এই সংস্থার সঙ্গে ২০ বছর কাজ করার পর তাঁর মনে হয়েছে, এখন তাঁর ভিন্নভাবে কাজ করার সময় এসেছে। শরণার্থী ও স্থানীয় সংস্থাগুলোর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হয়ে কাজ করার, তাদের সমস্যার সমাধানে সহায়তার সময় এসেছে।

জোলি আরও বলেন, ‘সামনের বছরগুলোয় শরণার্থীসহ অন্য বাস্তুচ্যুত মানুষের সহায়তায় আমি আমার সাধ্যমতো কাজ করে যাব।’

ইউএনএইচসিআর জোলিকে শরণার্থীদের অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের একজন হিসেবে অভিহিত করে এসেছে।

অস্কারজয়ী এই মার্কিন তারকা ২০০১ সাল থেকে ইউএনএইচসিআরের সঙ্গে কাজ করে এসেছেন। ২০১২ সালে তিনি সংস্থাটির বিশেষ দূত হন।

ইউএনএইচসিআর বলেছে, জোলি শরণার্থী ইস্যুতে সচেতনতা তৈরি করেছেন। শরণার্থীদের কল্যাণে সমর্থন জুগিয়েছেন। জোলি অক্লান্তভাবে কাজ করেছেন। তিনি শরণার্থীদের ভোগান্তির কথা শুনেছেন। তাঁদের আশার কথা শুনেছেন। স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার আকাঙ্ক্ষার কথা শুনেছেন।

সম্প্রতি জোলি ইউএনএইচসিআরের বিশেষ দূত হিসেবে ইয়েমেন ও বুরকিনা ফাসো সফর করেন। তিনি সেখানকার বাস্তুচ্যুত মানুষের সঙ্গে দেখা করেন।

শরণার্থী ও বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য অবদান রাখায় জোলির প্রতি ইউএনএইচসিআরের প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। ভবিষ্যতেও তিনি ব্যক্তি উদ্যোগে শরণার্থীদের জন্য কাজ করে যাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন ইউএনএইচসিআর-প্রধান।