মধ্য আকাশেই ককপিটে মারামারি, বরখাস্ত ২ পাইলট

এয়ার ফ্রান্সের প্রতীকী ছবিরয়টার্স

মধ্য আকাশে উড়োজাহাজের ককপিটে মারামারিতে জড়িয়েছিলেন এয়ার ফ্রান্সের দুই পাইলট। যদিও তাঁদের এমন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য ঝুঁকিতে পড়েননি ওই উড়োজাহাজের যাত্রীরা। তবে দায়িত্ব পালনকালে মারামারিতে জড়ানোয় ওই দুই পাইলটকে বরখাস্ত করেছে এয়ার ফ্রান্স। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার প্রতিষ্ঠানটি এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এনডিটিভি ও আল-জাজিরার।

ঘটনাটি গত জুনের। এয়ার ফ্রান্সের উড়োজাহাজটি সুইজারল্যান্ডের জেনেভা থেকে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে যাচ্ছিল। উড়োজাহাজটি উড্ডয়নের কিছু সময় পর সেটির পাইলট ও কো-পাইলটের ঝগড়া বাধে। একপর্যায়ে তা মারামারিতে গড়ায়। একে অপরের কলার চেপে ধরেন, ঘুষি মারেন। কেবিন ক্রুরা ককপিটে এসে তাঁদের নিবৃত্ত করেন। পরে উড়োজাহাজটি নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়।

এ ঘটনা প্রকাশ্যে এলে ব্যাপক সমালোচনা ছড়িয়ে পড়ে। ককপিটে মারামারির ঘটনার তদন্ত শুরু করে ফ্রান্সের আকাশ পরিষেবাসংক্রান্ত তদন্তকারী প্রতিষ্ঠান বিইএ। গত বুধবার প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন তদন্তকারীরা। এতে বলা হয়েছে, ওই উড়োজাহাজের পাইলট ও কো-পাইলট নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিধিবিধান গুরুত্বসহকারে মানেননি। এমন আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। এই গাফিলতির জন্য তাঁদের বরখাস্ত করা হয়েছে। যদিও ওই দুই পাইলটের নাম প্রকাশ করা হয়নি।

এর আগেও অনেকটা একই ধরনের সমস্যায় পড়েছিল এয়ার ফ্রান্স। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে কঙ্গো থেকে প্যারিসগামী একটি উড়োজাহাজের জ্বালানি ট্যাংকে ছিদ্র শনাক্ত হয়। পাইলট উড়োজাহাজটি আফ্রিকার আরেক দেশ চাদে জরুরি অবতরণ করান। কিন্তু তিনি ইঞ্জিনের সঙ্গে জ্বালানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেননি। এতে ইঞ্জিনে আগুন ধরে যাওয়ার ঝুঁকি ছিল বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

২০১৭ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে এয়ার ফ্রান্সের পাইলটদের এমন গাফিলতির তিনটি ঘটনা চিহ্নিত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংস্থাটি পাইলটদের নিরাপত্তাসংক্রান্ত সব বিধিবিধান যথাযথভাবে মেনে চলতে বলেছে।