প্যারিসে খুলছে পিকাসো জাদুঘর

প্যারিসের পিকাসো জাদুঘরফাইল ছবি: এএফপি

প্যারিসে আবার খুলছে পিকাসো জাদুঘর। বিখ্যাত স্প্যানিশ শিল্পী পাবলো পিকাসোর চিত্রকর্মের বৃহত্তম এ সংগ্রহশালা মঙ্গলবার থেকে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। প্রথমবার পিকাসোর সঙ্গী শিল্পী ফ্রাঁসোয়া জিলোকে শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে।

জাদুঘরের যে স্থায়ী সংগ্রহ, তাতে এবার নতুন করে যুক্ত হচ্ছে পাবলো পিকাসোর নির্বাচিত ৪০০ শিল্পকর্ম। জাদুঘরের ২২টি কক্ষে এসব শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হবে। জাদুঘরের সংরক্ষণে থাকা প্রায় ২ লাখ শিল্পকর্ম থেকে এসব বাছাই করা হয়েছে। এই সংগ্রহের মধ্যে পিকাসো তাঁর জীবনকালে শেষ করে যাওয়া ১৩ হাজার শিল্পকর্ম রয়েছে।

বলা হচ্ছে, পিকাসোর আঁকাআঁকির জীবনের শুরু থেকে ১৯৭৩ সালে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিটি সময়ের শিল্পকর্ম শুধু এই জাদুঘরেই আছে। জাদুঘরের একটি অংশের নাম ল্যাবরেটরি। সেখানে পিকাসোর তৈরি অগুনতি ভাস্কর্য রাখা আছে। এসব ভাস্কর্য তৈরিতে কার্ডবোর্ড, ধাতব পদার্থ, কাঠ, সিগারেটের প্যাকেট থেকে শুরু করে এমন কিছু নেই, যা ব্যবহার করেননি পিকাসো।

আরেকটি অংশে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের পিকাসোর আঁকা চিত্রকর্মগুলো স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে ওঠা ‘ম্যান উইথ দ্য শিপ’ নামের ভাস্কর্যটিও রয়েছে।

এদিকে প্রথমবারের মতো ফ্রাঁসোয়া জিলোর প্রতি সম্মান জানিয়ে জাদুঘরের একটি পুরো কক্ষই তাঁর শিল্পকর্মের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০২৩ সালের জুন মাসে ১০১ বছর বয়সে মারা যান ফ্রাঁসোয়া জিলো। ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত প্রায় এক দশক পিকাসোর সঙ্গী ছিলেন তিনি। তাঁদের দুটি সন্তান আছে। ফ্রাঁসোয়া জিলো নিজেকেও একজন শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।

১৯৬৫ সালে ‘লিভিং উইথ পিকাসো’ নামে ফ্রাঁসোয়া জিলোর লেখা একটি বই প্রকাশিত হয়। সে বইয়ের মাধ্যমে পিকাসোর জীবনের নানা দিক প্রকাশ্যে আনেন তিনি।

পিকাসো জাদুঘরের পরিচালক সিসিলি ডেব্রে বলেন, ২০২৩ সালে ছিল পিকাসোর ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে তাঁর অনেক চিত্রকর্ম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রদর্শিত হয়। তার মধ্যে অনেকগুলো এই জাদুঘরে প্রদর্শিত হচ্ছে।

পাবলো পিকাসোর শিল্পকর্ম নিয়ে ১৯৮৫ সালে প্যারিসে এই জাদুঘর চালু হয়। তবে মেরামত ও সম্প্রসারণের জন্য একাধিকবার জাদুঘরটি দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ ছিল।