রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে যুক্তরাষ্ট্রের হেলিকপ্টারের দিকে ঝুঁকছে ফিলিপাইন

যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি একটি চিনুক হেলিকপ্টার
ছবি: রয়টার্স

রাশিয়ার কাছ থেকে হেলিকপ্টার কেনার চুক্তি বাতিলের পর এখন যুক্তরাষ্ট্র থেকে চিনুক হেলিকপ্টার কিনতে চাইছে ফিলিপাইন। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে নিয়োজিত ম্যানিলার রাষ্ট্রদূত সোমবার এসব কথা বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের নিষেধাজ্ঞা এড়াতে সম্প্রতি রাশিয়ার সঙ্গে ২২ হাজার ৭৩৫ লাখ ডলার মূল্যের চুক্তিটি বাতিল করে ফিলিপাইন। খবর রয়টার্সের।

রাশিয়ার কাছ থেকে ১৬টি এমআই-১৭ রুশ সামরিক হেলিকপ্টার কেনার জন্য দেশটির সঙ্গে চুক্তি করেছিল ফিলিপাইন। তবে গত জুন মাসে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে রদ্রিগো দুতার্তের ছয় বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েক দিন আগে চুক্তিটি বাতিল করে ম্যানিলা। ইউক্রেনে রুশ অভিযানকে কেন্দ্র করে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সোমবার ম্যানিলায় ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত হোসে মানুয়েল রোমুয়ালদেজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে মূলত এ চুক্তি থেকে সরে আসা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্ব থেকে আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির আশঙ্কা থাকায় আমরা আর চুক্তিটি ধরে রাখার আগ্রহ পাইনি।’

রোমুয়ালদেজ আরও বলেন, রাশিয়ার কাছ থেকে যে পরিমাণ মূল্যে হেলিকপ্টার কেনার চুক্তি হয়েছিল সে একই পরিমাণ অর্থে চিনুক হেলিকপ্টার বিক্রি করতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের সঙ্গে যে চুক্তি হবে, তার আওতায় রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত ও যন্ত্রপাতি সরবরাহের মতো বিষয়গুলোও থাকবে বলে উল্লেখ করেন রোমুয়ালদেজ।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, হেলিকপ্টার কেনার জন্য রাশিয়াকে ডাউন পেমেন্ট হিসেবে দেওয়া ৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার ফিরে পেতে দেশটির সঙ্গে আলোচনা করছে ফিলিপাইন। এ চুক্তির আওতায় আগামী বছরের নভেম্বর থেকে হেলিকপ্টার সরবরাহ শুরুর কথা ছিল।

রোমুয়ালদেজ বলেন, সামরিক চুক্তি ছাড়াও ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মারকোস জুনিয়রের নেতৃত্বাধীন সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অর্থনৈতিক আদান-প্রদানেও আগ্রহী। উৎপাদন, ডিজিটাল অবকাঠামো এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক খাতে পারস্পরিক আদান-প্রদান চায় দেশটি।