কেকের পোশাক

কেকের পোশাকে নাতাশা কোলিন। ইনস্টাগ্রাম

কেকের আকারগত বৈচিত্র্য, স্বাদগত বৈচিত্র্য মানুষকে সাধারণত আকৃষ্ট করে। তাই বলে কেক দিয়ে পোশাক? হ্যাঁ, এমনটাই দেখা গেল সুইজারল্যান্ডে। সেখানে একটি উৎসবে একটি কেক তৈরি করা হয়েছে, যা কি না পোশাক আদলের। শুধু আদল বললে ভুল হবে। এটি আসলেই পরিধানযোগ্য।

সুইজারল্যান্ডের বের্ন শহরে বসেছিল সুইস ওয়ার্ল্ড ওয়েডিং ফেয়ার। গত ১৫ জানুয়ারি এই মেলায় নাতাশা কোলিন কিম ফাহ লি ফোকাস নামের এক নারী এমন কেক বানিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছেন।

নাতাশা যে জন্য রেকর্ড বইয়ে নাম লিখিয়েছেন তা হলো, ‘পরিধানযোগ্য সবচেয়ে বড় কেক’। যেনতেন আকারের কেক বানাননি তিনি। তিনি যে কেকটি বানিয়েছেন, সেটির ওজন ১৩১ কেজির বেশি।

কেক তৈরির একটি প্রতিষ্ঠান আছে নাতাশার। এর নাম সুইটিকেকস। নাতাশার এই প্রতিষ্ঠান ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে। গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন আকারের কেক তৈরি করে দেয় তাঁর প্রতিষ্ঠান। এই মেলায় যে ফ্যাশন শোর আয়োজন করা হয়েছিল, সেই ফ্যাশন শোর শেষ দিনে এই কেক-পোশাক পরে মঞ্চে ওঠেন তিনি।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ এই কেকের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, কেকের তৈরি ওই পোশাকের মধ্যে নাতাশা ঢুকছেন। আরেকটি ছবিতে দেখা যায়, নাতাশার পোশাক থেকে কেক কেটে নেওয়া হচ্ছে। এরপর সেই কেক বিতরণ করা হয়েছে মেলায় আসা অতিথিদের মধ্যে।

এই কেকের ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। একজন মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, এটা অসাধারণ। অনেকে অবশ্য একটু ধন্দের মধ্যে পড়েছেন। তিনি লিখেছেন, কেক কোথায়?...তিনি এটা পরে আছেন। আরেকজন লিখেছেন, এত ওজন কাঁধে নিয়ে তিনি হেঁটেছেন, যেটা আসলেই মুগ্ধ করার মতো।