তুরস্কের কয়লাখনিতে বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৪০

তুরস্কের উত্তরাঞ্চলে কৃষ্ণসাগর-সংলগ্ন বাতিন প্রদেশের আমাসরা শহরের একটি কয়লাখনিতে শুক্রবার বিস্ফোরণ হয়
ছবি: রয়টার্স

তুরস্কের একটি কয়লাখনিতে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪০ হয়েছে। খনিতে এখনো আটকা পড়ে আছেন অনেকে। তাঁদের উদ্ধারে কাজ চলছে। দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাতে আজ শনিবার আল-জাজিরার প্রতিবেদনে এসব তথ্য দেওয়া হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত টিটিকে আমাসরা মুয়েসেস মুদুরলুগু কয়লাখনিতে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। কয়লাখনিটি তুরস্কের উত্তরাঞ্চলে কৃষ্ণসাগর-সংলগ্ন বাতিন প্রদেশের আমাসরা শহরে অবস্থিত। শহরের গভর্নরের দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, খনির অন্তত ৩০০ মিটার (৯৮৫ ফুট) নিচে বিস্ফোরণ ঘটে।

বিস্ফোরণের পর ৫৮ জনকে খনি থেকে অক্ষত অবস্থায় বের করে আনা হয়েছে। আহত অপর ১১ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এখনো যাঁরা খনিতে আটকে আছেন, তাঁদের অবস্থা জানা যায়নি। তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা এএফএডি জানিয়েছে, আশপাশের প্রদেশ থেকে উদ্ধারকারী দলকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সয়লু উদ্ধারকাজ তদারক করতে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বিস্ফোরণের সময় সেখানে ১১০ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। এখন পর্যন্ত ৪০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।

গতকালের বিস্ফোরণের কারণ সম্পর্কে প্রাথমিক একটি ধারণা দিয়েছেন তুরস্কের জ্বালানিমন্ত্রী ফাতিহ দনমেজ। কয়লাখনিতে জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণ থেকে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন তিনি।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, তিনি তাঁর অন্য সব কর্মসূচি বাতিল করে আজ দুর্ঘটনাস্থলে যাবেন। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমাদের আশা, প্রাণহানি আর বাড়বে না। অন্য খনিশ্রমিকদের জীবিত উদ্ধার করা যাবে।’

এর আগে ২০১৪ সালে তুরস্কে কয়লাখনিতে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছিল। ওই বছর দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে সোমা শহরে একটি কয়লাখনিতে আগুন লাগে। এতে সেখানে থাকা ৩০১ জনের মৃত্যু হয়।