কৃষ্ণসাগরে রুশ নৌবহরের সদর দপ্তরে ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

হামলার দায় স্বীকার করেছে ইউক্রেন। সম্প্রতি ক্রিমিয়ায় হামলা জোরদার করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।

ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন ভাসিল গ্রিতসেঙ্কো। যুদ্ধে পা হারিয়েছেন তিনি। তাঁকে চিকিৎসা দিচ্ছেন ফিজিওথেরাপিস্ট রোকসোলানা শিমলো। সম্প্রতি ইউক্রেনের লিভিভ শহরে
ছবি: এএফপি

রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা ক্রিমিয়া উপদ্বীপে দেশটির কৃষ্ণসাগর নৌবহরের সদর দপ্তরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবারের এ হামলায় ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। এ ঘটনায় একজন নিখোঁজ রয়েছেন। হামলার দায় স্বীকার করেছে ইউক্রেন।

রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে গত জুনে পাল্টা–আক্রমণ শুরু করে ইউক্রেন। এরপর থেকে ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে নিশানা করে আসছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সেখানকার সামরিক স্থাপনায় হামলার পরিমাণ বেড়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর যোগাযোগ দপ্তর বলেছে, সাময়িক দখলে থাকা সেভাস্তোপোলে রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর নৌবহর কমান্ডের সদর দপ্তরে সফল হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনী। বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে এ হামলা চালানো হয়।

রাশিয়া ২০১৪ সালে ক্রিমিয়াকে নিজ ভূখণ্ডের সঙ্গে একীভূত করে নেয়। এই উপদ্বীপের সেভাস্তোপোলে রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর নৌবহরের সদর দপ্তর অবস্থিত। রাশিয়ার দখল থেকে ক্রিমিয়া পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকার করেছে ইউক্রেন। সম্প্রতি উপদ্বীপটিতে হামলা জোরদার করেছে কিয়েভ।

হামলার পর ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর কমান্ডার মিকোলা ওলেশ্চুক বলেন, বিমানবাহিনীর বৈমানিকদের আবারও ধন্যবাদ জানাতে চাই।

এ হামলার ঘটনায় এক সেনাসদস্য নিখোঁজ থাকার কথা জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এর আগে অবশ্য একজন নিহত হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, কৃষ্ণসাগর নৌবহরের ঐতিহাসিক সদর দপ্তর ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে বলেও মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।