সেনাবাহিনীকে অবমাননা করায় রুশ অধিকারকর্মীর ৩০ মাসের কারাদণ্ড
রাশিয়ার প্রখ্যাত মানবাধিকারকর্মী ওলেগ ওরলভকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে রুশ সেনাবাহিনীকে অবমাননা করার অভিযোগ ছিল।
রাশিয়ায় নিষিদ্ধ মানবাধিকার সংস্থা মেমোরিয়াল গতকাল মঙ্গলবার অনলাইনে একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, রায় ঘোষণার পর মস্কোর গোলোভিনস্কি ডিস্ট্রিক্টের একটি আদালতের বাইরে এনে পুলিশের গাড়িতে তোলা হচ্ছে ওলেগকে। ৭০ বছর বয়সী ওলেগের হাতে হাতকড়া পরানো ছিল। তাঁকে হাসিমুখে গাড়িতে উঠতে দেখা গেছে।
নোবেল বিজয়ী মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান মেমোরিয়ালের কো-চেয়ারপারসন ওলেগ। প্রতিষ্ঠানটি বিচারপ্রক্রিয়ার নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতিতে বলেছে, এটা ন্যায়বিচারের প্রতি উপহাস ও মতপ্রকাশের মৌলিক অধিকারের ওপর আক্রমণ।
ওলেগের বিরুদ্ধে দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে এবং শত বাধার পরও প্রতিষ্ঠানটি কাজ চালিয়ে যাবে বলেও জানিয়েছে মেমোরিয়াল।
মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ, ২০২২ সালে রুশ বাহিনী ইউক্রেনে সর্বাত্মক হামলা শুরুর পর থেকে ক্রেমলিন সমালোচনাকারীদের ওপর আরও বেশি খড়্গহস্ত হয়েছে।
যুদ্ধ শুরুর বছর ওলেগ একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন। ওই নিবন্ধে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর হামলার সমালোচনা করেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নেতৃত্বে রাশিয়া ‘ফ্যাসিবাদের’ চর্চা করছে। ওই নিবন্ধ লেখার পর ওলেগের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
রাশিয়ার একটি ডিস্ট্রিক্ট আদালত ওলেগকে প্রাথমিকভাবে ১ লাখ ৫০ হাজার রুবল বা ১ হাজার ৬২৯ ডলার জরিমানা করে। তবে তাঁর পুনর্বিচারের আবেদন করা হয়েছিল। প্রসিকিউটররা তাঁর ২ বছর ১১ মাসের কারাদণ্ড চেয়েছিলেন।
শুনানি শেষে গতকাল আদালতে ওলেগ বলেছেন, তিনি কোনো অপরাধ করেননি। তিনি শুধু ‘সর্বগ্রাসী ও ফ্যাসিবাদী’ রাশিয়ার সমালোচনা করেছেন। এ জন্য তাঁর কোনো অনুশোচনা নেই।