মাঝ আকাশে হঠাৎ খুলে গেল উড়োজাহাজের দরজা, এরপর...

বাইরে কনকনে ঠান্ডা। তাপমাত্র মাইনাস ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উড়ছে উড়োজাহাজ। আচমকা মাঝ আকাশে খুলে গেল দরজা। কেবিনের ভেতর বাতাসের চাপ গেল কমে। যাত্রীদের মালপত্র উড়তে শুরু করল। কিছু মালপত্র নিচেও পড়ল। আতঙ্কিত যাত্রীরা। সাইবেরিয়ার প্রত্যন্ত শহর থেকে রাশিয়ার উপকূলে যাওয়ার পথে একটি উড়োজাহাজে এ ঘটনা ঘটে গত সোমবার। ভয়ংকর এ যাত্রার সাক্ষী হলেন রাশিয়ার এএন-২৬ উড়োজাহাজের যাত্রীরা।

এনডিটিভি ও নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্ব সাইবেরিয়ার ইয়াকুটস্ক এলাকার মগন থেকে উড়োজাহাজটি যাত্রা শুরু করেছিল। যাওয়ার কথা ছিল রাশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলের মাগাদানে। উড়োজাহাজে ছিলেন ২৫ জন যাত্রী। পাইলটসহ ক্রু সদস্য ছিলেন আরও ছয়জন। যাত্রা শুরুর কিছু সময়ের মধ্য উড়োজাহাজটি কয়েক হাজার ফুট ওপরে উঠে যায়। সাইবেরিয়া অঞ্চলে হওয়ায় ওই উড়োজাহাজের বাইরের তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওড়ার কিছু সময় পরেই হঠাৎ পেছনের দরজা খুলে যায়। এরপরই পাইলট মগনেই ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। মগন বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে উড়োজাহাজটি।

উড়োজাহাজের যাত্রীদের তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কয়েক যাত্রী সামান্য আহত হয়েছেন। তবে মাঝ আকাশে উড়োজাহাজের দরজা খোলার আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারছেন না তাঁরা। অনেকের কেবিনে থাকা মালপত্র হারিয়ে গেছে।

উড়োজাহাজের এক যাত্রীর শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, পেছনের দরজাটি খোলা। এটা দেখে যাত্রীরা ভয়ে আতঙ্কিত। বাতাসে উড়োজাহাজের ভেতরে থাকা পর্দাগুলো উড়তেও দেখা গেছে।
নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দরজা খুলে যাওয়ার বিষয়টি উড়োজাহাজের কর্মীদের চোখে পড়তেই তাঁরা এটি মগন শহরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। উড়োজাহাজটিকে ওই অবস্থাতেই  দ্রুত মগন শহরে নিরাপদে নামান পাইলট। এটি ৪৩ বছরের পুরোনো। উড়োজাহাজটি ১৯৭৯ সাল থেকে আকাশে উড়ছে। রাশিয়ারা কর্মকর্তারা বলেছেন, তাঁরা এ ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করছেন।