আমরা একটি গাড়িতে আছি, যার চার চাকাই ফুটো: ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী

হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান
ফাইল ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনে হামলার পর রাশিয়ার ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা কাজে আসেনি বলে মনে করছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্তর অরবান। তাঁর মতে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) এখন নতুন কৌশলের পথে হাঁটতে হবে। যুদ্ধ প্রসঙ্গে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হাঙ্গেরির সরকারপ্রধান বলেছেন, ‘আমরা এমন একটি গাড়িতে বসে আছি, যার চারটি চাকাই ফুটো।’

আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল শনিবার রোমানিয়ায় দেওয়া এক বক্তব্যে এসব কথা বলেন ভিক্তর অরবান। তিনি বলেন, ইউক্রেনে যুদ্ধ জয়ের চেয়ে নতুন কৌশলের দিকে নজর দিতে হবে, যে কৌশলে শান্তি আলোচনা ও ভালো একটি শান্তি প্রস্তাবের খসড়ার ওপর জোর দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

গত এপ্রিলে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হন অরবান। এ নিয়ে পরপর চার মেয়াদে ক্ষমতায় রয়েছেন তিনি। গতকালের বক্তৃতায় তিনি সেই আগের কথাই তুলে ধরে বলেন, একটি ন্যাটো দেশ হিসেবে হাঙ্গেরি প্রতিবেশী ইউক্রেনে যুদ্ধে জড়াবে না।

অরবান বলেন, ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমাদের কৌশল মূলত চারটি বিষয়ের ওপর গড়ে উঠেছে। এগুলো হলো ইউরোপ মনে করে ন্যাটোর অস্ত্রসহায়তা নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে জয়লাভ করতে পারবে ইউক্রেন; রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেশটিকে দুর্বল করবে ও দেশটির নেতৃত্বকে অস্থিতিশীল করে তুলবে; নিষেধাজ্ঞাগুলো ইউরোপের চেয়ে রাশিয়ার বেশি ক্ষতি করবে এবং ইউক্রেন ইস্যুতে ইউরোপকে সমর্থন দেবে বিশ্ব।

তবে এই কৌশল ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করছেন অরবান। ইউরোপের দেশগুলোতে সরকার ভেঙে পড়ছে, জ্বালানির দাম বেড়েছে এবং এখন একটি নতুন কৌশল প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা একেবারে পরিষ্কার যে এই পথে যুদ্ধে জয়লাভ করা যাবে না।’

আরও পড়ুন

যুদ্ধ থামাতে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র আলোচনাই যুদ্ধ থামাতে পারে। কারণ, রাশিয়া নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চায়, যেটা কেবল যুক্তরাষ্ট্রই দিতে পারে।

এর আগে রাশিয়ার জ্বালানি তেল ও গ্যাসের ওপর ইইউর অবরোধের বিষয়ে কথা বলেছিলেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী। তাঁর ভাষ্যমতে, রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানি নিয়ে ইইউর অবরোধ মানতে নারাজ হাঙ্গেরি। কারণ, এটি দেশটির অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। রাশিয়া থেকে আমদানি করা গ্যাসের ওপর হাঙ্গেরির ব্যাপক নির্ভরশীলতা রয়েছে।

আরও পড়ুন