রুশ যুদ্ধজাহাজে ইউক্রেনের হামলার কথা স্বীকার ক্রেমলিনের

ক্রিমিয়া উপদ্বীপের ফিওদোসিয়া বন্দরে বড় একটি যুদ্ধজাহাজ আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ক্রেমলিন।

রাশিয়ার এই নভোচেরকাস্ক যুদ্ধজাহাজে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনছবি: রয়টার্স

ক্রিমিয়া উপদ্বীপের ফিওদোসিয়া বন্দরে রাশিয়ার একটি যুদ্ধজাহাজে হামলা হওয়ার কথা স্বীকার করেছে দেশটি। আজ মঙ্গলবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র পেসকভ বলেন, ‘ফিওদোসিয়ায় ইউক্রেনের হামলা এবং আমাদের একটি বড় “ল্যান্ডিং শিপ” ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি আজ প্রেসিডেন্টকে অবহিত করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু। তিনি বিস্তারিত তুলে ধরেছেন।’

এর আগে ইউক্রেনের বিমানবাহিনী বলেছে, ক্রিমিয়া উপদ্বীপের কাছে রুশ নৌবহরের একটি জাহাজ তারা ধ্বংস করেছে। তাদের ধারণা, ওই জাহাজে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ড্রোন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এসব ড্রোন ইরান থেকে এসেছিল বলেও মনে করা হচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে ইউক্রেনের বিমানবাহিনী বলেছে, স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এই হামলা চালানো হয়। ফিওদোসিয়া এলাকায় রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর নৌবহরের জাহাজটিতে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়েছিল।

ক্রিমিয়ার রুশ নৌবাহিনীর প্রধান ঘাঁটি হলো ফিওদোসিয়ায়। এর আগে এক বার্তায় ইউক্রেনের বিমানবাহিনী বলেছে, নভোচেরকাস্ক যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করা হয়েছে। ওই বার্তায় জাহাজটিতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ইরানের দেওয়া ড্রোন বহন করা হচ্ছিল বলে জানানো হয়। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া সাধারণত এই ড্রোন ব্যবহার করে।

ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মিকোলা ওলেচচক ফিওদোসিয়ায় রাশিয়ার নৌঘাঁটিতে বিস্ফোরণের ভিডিও পোস্ট করেছেন।

ক্রিমিয়ার প্রশাসনিক প্রধান সের্গেই আকসিওনভ বলেছেন, ফিওদোসিয়ায় শত্রুরা হামলা চালিয়েছে। বন্দর এলাকাটি ঘিরে রাখা হয়েছে। বিস্ফোরণ থেমে গেছে এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলেও জানান আকসিওনভ।

রাশিয়ার নৌবাহিনীকে লক্ষ্য করে প্রায়ই হামলা চালিয়ে আসছে ইউক্রেন। গত বছরের এপ্রিলে ক্ষেপণাস্ত্রবাহী যুদ্ধজাহাজ মস্কোভা ডুবিয়ে দেয় ইউক্রেন।