যুদ্ধের সমাপ্তি চান জেলেনস্কি-বাইডেন, বল পুতিনের কোর্টে

যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ছবি: এএফপি

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ৩০০ দিন পেরিয়েছে। প্রথম দিকে জোরালো হামলা চালাচ্ছিল রাশিয়া। মাঝে কিছুদিন হামলার মাত্রা কমে এসেছিল। ইউক্রেনে শীত জেঁকে বসার সঙ্গে সঙ্গে সেই হামলা আবারও জোরদার করেছে রুশ বাহিনী। এখন এই যুদ্ধে পরিসমাপ্তি চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে যুদ্ধের ইতি টানতে বল রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কোর্টে ঠেলে দিয়েছেন তাঁরা।

সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসে ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেছেন জো বাইডেন। এই বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেছেন তাঁরা। সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, “আমরা দুজনই চাই যুদ্ধ শেষ হোক। আমি যেমনটা বলেছি, এই যুদ্ধ আজই থেমে যেতে পারত যদি পুতিনের সেই সম্ভ্রম থাকত এবং ঠিক কাজটি করতে পারতেন এবং তিনি যদি (সেনাদের) বলতে পারতেন, ‘ফিরে আসুন’।” বাইডেন আরও বলেন, কিন্তু এমনটা ঘটবে আনা। এখন এমন ঘটবে না।

তাহলে কী হবে, এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বাইডেন নিজেই বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ইউক্রেনকে যুদ্ধে জেতানোর জন্য সাহায্য করে যাবে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউসে বৈঠক শেষে ইউক্রেনীয় এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জেরে যুদ্ধের পরিসমাপ্তির বিষয়টি উঠে আসে। ওই সাংবাদিক প্রশ্ন করার আগে ইউক্রেনকে সাহায্য করার জন্য জো বাইডেনকে ধন্যবাদ জানান। এরপর তিনি বলেন, তাঁর পরিবার ইউক্রেনে থাকে। বাইডেন যদি সাহায্য না করতেন তবে তাঁর পরিবারের সদস্যরা মারা পড়তেন। পরে সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেন, রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কী আশা করা হচ্ছে?

এমন প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য জেলেনস্কিকে আহ্বান জানিয়ে বাইডেন বলেন, ‘তিনি তো আপনার লোক।’ এ সময় সংবাদ সম্মেলন কক্ষে হাসির রোল পড়ে। পরে সামলে নিয়ে বাইডেন বলেন, ‘সাংবাদিককে ইতিমধ্যে আমিও পছন্দ করে ফেলেছি।’

পর জেলেনস্কি এই প্রশ্নের জবাব দেওয়া শুরু করেন। তিনি বলেন, এত দুর্ভোগের জন্য হামলাকারীরা (রাশিয়া) ইতিমধ্যেই দায়ী। তিনি আরও বলেন, ‘যুদ্ধের মধ্য দিয়ে শান্তি আসতে পারে না। এই যুদ্ধ আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ জেলেনস্কি বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি রাশিয়াকে আহ্বান জানাতে পারেন না।

এরপর এ বিষয়ে বাইডেন কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা দুজন আলোচনা করেছিল। আমরা লক্ষ্য একই। সেটা হলো, মুক্ত, স্বাধীন, সমৃদ্ধ ও নিরাপদ ইউক্রেন। আমরা দুজনই যুদ্ধের সমাপ্তি চাই।’