ক্রিমিয়া সেতুতে হামলার কথা স্বীকার করল ইউক্রেন
ক্রিমিয়া সেতুতে গত বছরের হামলার জন্য রাশিয়া দায়ী করেছিলেন ইউক্রেনকে। ওই সময় বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞদের অনুমানও ছিল, এই হামলার পেছনে ইউক্রেন রয়েছে। তবে ইউক্রেন এই হামলার কথা অস্বীকার করে আসছিল। অবশেষ বুধবার ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা সিকিউরিটি সার্ভিস অব ইউক্রেন (এসবিইউ) এই দায় স্বীকার করল।
এসবিইউর প্রধান ভাসিল মালিকউক বলেন, সেখানে যে হামলা চালানো হয়েছিল তার পেছনে তাদের গোয়েন্দা সংস্থা ছিল। ইউক্রেনের যুদ্ধকালীন অভিযান নিয়ে ডাক টিকিট প্রকাশকালে তিনি এ কথা বলেন। তাঁর এই বক্তব্য টেলিভিশনে প্রচারও করা হয়েছে।
ভাসিল মালিকউক বলেন, ‘অনেক ধরনের অভিযান চালানো হয়েছে, বিশেষ অভিযান চালানো হয়েছে। এর মধ্যে কিছু অভিযানের কথা আমরা প্রকাশ্যে বলতে পারি। জয়ের পর প্রকাশ্যে উল্লাস করতে পারি। তবে সব অভিযানের কথা বলা যায় না।’ তিনি বলেন, এর অনেকগুলোর মধ্যে একটি গত বছরের ৮ অক্টোবরের ক্রিমিয়া সেতু ধ্বংসের অভিযান।
ক্রিমিয়া একসময় ইউক্রেনের অংশ ছিল। ২০১৪ সালে ভূখণ্ডটি দখল করে নেয় রাশিয়া। এর পরপরই ক্রিমিয়াকে নিজেদের ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করতে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় মস্কো। চার বছরের মাথায় চালু করা হয় কার্চ সেতু। ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ক্রিমিয়া সেতু নামেও এই স্থাপনা পরিচিত। ক্রিমিয়া ও রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সরাসরি যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই সেতু। এটি দক্ষিণ ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ রুট। গত বছরের অক্টোবরের ওই হামলায় তিনজন নিহত হয়েছিলেন। এ ছাড়া হামলায় সেতুর স্প্যান ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।