ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৫৩ জন আহত, শিশু হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত

কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিধ্বস্ত একটি ভবন, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ৫৩ জন আহত হয়েছেন। হামলায় কিছু বাড়িঘর ও একটি শিশু হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আজ বুধবার ইউক্রেনের কর্মকর্তারা এমন দাবি করেছেন। এটি কিয়েভে চলতি সপ্তাহে রাশিয়ার দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা।

হামলার ঘটনায় কিছু আবাসিক ভবনের জানালা উড়ে গেছে। এ সময় আতঙ্কিত বাসিন্দারা চিৎকার করতে করতে রাস্তায় নেমে আসেন। ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে পার্ক করা কিছু গাড়িরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এক টেলিগ্রাম পোস্টে ইউক্রেনের বিমানবাহিনী লিখেছে, স্থানীয় সময় আজ ভোর তিনটার দিকে রাজধানী কিয়েভকে লক্ষ্য করে রাশিয়া ১০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল। ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ব্যবহার করে সেগুলো ভূপাতিত করা হয়েছে।

ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর ধ্বংসাবশেষের আঘাতের কারণে আহত ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। কিয়েভ নগরের সামরিক প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, ৩৫টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে ইউক্রেনের জাতীয় পুলিশ বলেছে, হামলায় ৬ শিশুসহ ৫৩ জন আহত হয়েছেন। ১৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিৎসকো টেলিগ্রাম পোস্টে লিখেছেন, ধ্বংসাবশেষের আঘাতে কিয়েভের দিনিপ্রোভিস্কির একটি শিশু হাসপাতালের জানালা ও প্রবেশদ্বার ভেঙে গেছে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

কিয়েভের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সেরহি পপকো বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষের আঘাত লাগার পর দিনিপ্রোভিস্কির একটি ভবন ও আশপাশে পার্ক করা কিছু গাড়িতে আগুন ধরে যায়। সেখান থেকে ৭ শিশুসহ ১৭ জনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তারা বলেছেন, এস-৪০০ এবং ইস্কান্দার-এম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল।

এর আগে গত সোমবার ভোরে কিয়েভে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় চারজন আহত হন।

গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রিপাবলিকানদের সতর্ক করে বলেছেন, তাঁরা যদি ইউক্রেনের জন্য অতিরিক্ত সামরিক সহায়তা দিতে ব্যর্থ হন, তবে তা রাশিয়াকে সুবিধা দেবে। তা রাশিয়ার জন্য ‘বড়দিনের উপহার’-এর মতো হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নিজ দেশের জন্য সহায়তা চেয়েছেন। তবে কোনো ধরনের সহায়তার আশ্বাস ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়।