৩৮টির মধ্যে ২৬টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি ইউক্রেনের

ইউক্রেনে হামলা চালাতে মস্কো ইরানি ড্রোন ব্যবহার করে আসছে বলে দাবি কিয়েভের
ফাইল ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনে হামলা চালাতে গতকাল সোমবার রাতে ৩৮টি ড্রোন পাঠিয়েছিল রাশিয়া। এর মধ্যে ২৬টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে ইউক্রেন। ইউক্রেনীয় বিমানবাহিনী আজ মঙ্গলবার এ দাবি করেছে।

তবে শস্য রপ্তানির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত দানিউব নদীর তীরবর্তী ইউক্রেনীয় বন্দর ইজমাইলে আবারও হামলা চালাতে সক্ষম হয়েছে রাশিয়া।

ইউক্রেনের ওডেসার আঞ্চলিক গভর্নর ওলেগ কিপার মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামে বলেন, দুই ঘণ্টা ধরে একাধিক রুশ ড্রোন বন্দরটির অবকাঠামোতে হামলা চালায়। এতে ৩০টির বেশি যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হামলায় আহত হয়েছেন দুজন চালক।

গত জুলাই মাসে কৃষ্ণসাগর শস্য চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায় রাশিয়া। এর পর থেকে তারা ইউক্রেনের দক্ষিণ ওডেসা ও মাইকোলাইভ অঞ্চলের শস্য রপ্তানির অবকাঠামোতে হামলা বাড়িয়ে দেয়।

ইউক্রেনের বিমানবাহিনী টেলিগ্রামে বলেছে, দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ৩৮টি শাহেদ-১৩৬/১৩১ ড্রোন দিয়ে রাশিয়ার হামলা চালানোর তথ্য তারা রেকর্ড করেছে। ইউক্রেনের বিমানবাহিনীসহ অন্যান্য সামরিক ইউনিট ইরানের তৈরি এই ড্রোনগুলোর মধ্যে ২৬টিকে ধ্বংস করেছে।

পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য রোমানিয়ার সীমান্তে ইজমাইল বন্দরটি অবস্থিত। চুক্তি থেকে রাশিয়ার বেরিয়ে যাওয়ার পর ইউক্রেনীয় কৃষিপণ্য রপ্তানির একটি প্রধান রুট হয়ে ওঠে এই বন্দর।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এই বন্দরকে নিশানা করে রাতের বেলায় ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে রাশিয়া।

রাশিয়া ও ইউক্রেন বিশ্বের প্রধান দুটি কৃষিশক্তি। দেশ দুটির কৃষিপণ্য বৈশ্বিক খাদ্যনিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। এই হামলার জেরে রাশিয়ার ওপর দফায় দফায় আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এই প্রেক্ষাপটে বিশ্বে কৃষিপণ্যের সরবরাহসহ বাজার অস্থিতিশীল হয়ে যায়।