রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ
ফাইল ছবি: রয়টার্স

পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোকে নিজেদের সীমান্ত থেকে দূরে রাখতে চায় রাশিয়া। রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের কণ্ঠে সে কথা ফুটে উঠেছে। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করতে হলে রাশিয়ার একমাত্র উপায় হলো ‘শত্রু’ রাষ্ট্রগুলোর সীমান্ত থেকে যতটা সম্ভব সামরিক শক্তিকে দূরে রাখা। এ ক্ষেত্রে তিনি প্রতিবেশী পোল্যান্ডের কথা উল্লেখ করেছেন। পোল্যান্ড ন্যাটোর সদস্য। তবে তিনি বলেছেন, প্রয়োজনে পোল্যান্ডের সীমান্ত থেকেও সামরিক শক্তিকে যতটা সম্ভব দূরে ঠেলে দিতে চায় রাশিয়া। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গত শুক্রবার মেদভেদেভ এ কথা বলেন।

মেদভেদেভ বর্তমানে রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান। নিজের টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে দেওয়া বার্তায় যুদ্ধ নিয়ে তিনি বলেন, ‘জয় একদিন হবে। আমরা সবাই চাই, এটা যেন খুব তাড়াতাড়ি হয়। সেই দিনটি আসবে।’ তাঁর মতে, ইউক্রেন ও পশ্চিমের সঙ্গে আলোচনা চূড়ান্ত পরিণতি পাবে চুক্তির মাধ্যমে। এ চুক্তির জন্য কঠিন দর-কষাকষি হবে।

তবে দিমিত্রি মেদভেদেভ আরও বলেন, এই চুক্তিতে প্রকৃত সীমানা বা সীমান্ত নিয়ে সমঝোতার বিষয়টির ঘাটতি থাকবে। আর এ কারণে এই চুক্তিটি ইউরোপের নিরাপত্তা নিয়ে যে চুক্তি আছে তার মতো অতটা পোক্ত হবে না। এ জন্যই রাশিয়াকে তার সীমান্ত আরও সম্প্রসারণের করার গুরুত্বপূর্ণ কাজ চালিয়ে যেতে হবে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র মেদভেদেভ বলেন, ‘এ কারণে বিশেষ সামরিক অভিযানের যেসব লক্ষ্য ছিল সেসব লক্ষ্যের সবগুলো অর্জন করা গুরুত্বপূর্ণ। যেসব দেশ রাশিয়ার জন্য হুমকি সেসব দেশের সীমান্ত থেকে সামরিক শক্তিকে যতটা সম্ভব দূরে ঠেলে দিতে হবে।’

পোল্যান্ডের সঙ্গে দীর্ঘ সীমান্ত আছে ইউক্রেনের। একই সঙ্গে রাশিয়ার মিত্র হিসেবে পরিচিত বেলারুশের সঙ্গেও দেশটির সীমান্ত আছে। এ ছাড়া কালিনিংগ্রাদ নামে রাশিয়ার একটি প্রদেশ আছে। এটি মূলত ছিটমহল। এর অবস্থান পোল্যান্ডের উত্তর-পূর্ব দিকে। এই ছিটমহলের সঙ্গে পোল্যান্ডের ২০০ কিলোমিটার সীমান্ত আছে।